৫৬ বছর বয়সে রেকর্ড ‘দেশভক্ত’ অক্ষয়ের!

ভারতীয় নাগররিকত্ব পুনরুদ্ধারের কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে ৫৬ বছর বয়সে লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে রেকর্ড গড়লেন অভিনেতা। মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহনে অংশ…

Akshay Kumar ৫৬ বছর বয়সে রেকর্ড 'দেশভক্ত' অক্ষয়ের!

ভারতীয় নাগররিকত্ব পুনরুদ্ধারের কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে ৫৬ বছর বয়সে লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে রেকর্ড গড়লেন অভিনেতা। মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহনে অংশ নিচ্ছেন অভিনেতারাও। ভোটের লাইনে দেখা যায় অক্ষয় কুমারকেও।

আজ ভোটদানের পর সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময়, অক্ষয় কুমার ২০২৩ সালের আগস্টে তার ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার ভোট দেওয়ার বিষয়ে তার আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “আমি চাই আমার ভারত উন্নত এবং শক্তিশালী হোক। আমি সেটা মাথায় রেখে ভোট দিয়েছি। ভারতীয়দের তারা যা সঠিক বলে মনে করে সেটা ভেবে ভোট দেওয়া উচিত। আমার আশা ভোটারদের উপস্থিতির হার ভালোই হবে।”

   

 

রাজনৈতিকভাবে, বলিউডের ‘খিলাড়ি’র বিরুদ্ধে বারংবার বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং সিনেমাতে তাদের প্রকল্পের প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৪ সাল থেকে, ৫৬ বছর বয়সী অভিনেতা জাতীয়তাবাদী ঘরানার ১১ টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার বিগত কয়েকটি চলচ্চিত্রের মধ্যে আটটির বেশি ছবিতে মারাত্মক দেশভক্তি কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

অক্ষয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তার ছবি ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’তে তিনি বিজেপি সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রকল্পের প্রচার করেছেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায় তাকে। এছাড়া মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন অক্ষয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলাদের ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও এবিভিপির পতাকা হাতে দেখা যায় তাকে।

এতো অভিযোগ উঠলেও তা বার বার নস্যাৎ করেছেন অক্ষয়। পুরোনো একটি সাক্ষাৎকারে, তিনি বলেছিলেন যে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এবং তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নেই। তিনি আরও বলেছিলেন যে লোকেরা তাকে ‘টয়লেট: এক প্রেম কথার’ মাধ্যমে “স্বচ্ছ ভারত” প্রকল্প প্রচারের জন্য অভিযুক্ত করে, যদিও তিনি ‘প্যাডম্যান’ এর মতো শিক্ষামূলক চলচ্চিত্রও তৈরি করেছিলেন। তার অভিনীত বেশ কিছু চরিত্র যে কংগ্রেস আমলের সেই কথাও মনে করিয়েছিলেন অভিনেতা। অভিনেতার কথায়, “কেউ ‘এয়ারলিফ্ট’ এবং ‘মিশন রানিগঞ্জ’কে মনে রাখে না। তারা এই জিনিসগুলি তখনই বলে যখন এটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মিলে যায় এবং তাদের আরোপ লাগাতে সুবিধা হয়।”

অক্ষয় কুমার ১৯৯০-এর দশকে কানাডার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন যখন তার ১৫টি ছবি পরপর বক্স অফিসে বিফল হয়। ভারতে তার কর্মজীবনের উন্নতি হওয়ায়, তিনি ২০১৯ সালে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন।এর আগে, অক্ষয় তার কানাডার পাসপোর্টও ত্যাগ করার কথা বলেছিলেন। “ভারত আমার কাছে সবকিছু…আমি যা অর্জন করেছি, তা এখান থেকেই। আমার খারাপ লাগে যখন কিছু মানুষজন কিছু না জেনে কথা বলে …,” একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন অভিনেতা।

অক্ষয় কুমারকে শেষ দেখা গিয়েছিল অ্যাকশন ড্রামা ‘বাদে মিয়াঁ ছোট মিয়াঁ’-তে। টাইগার শ্রফ অভিনীত এই ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পরে।