রেজিনগরে হিংসার উস্কানি রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj)। সোমবার বাঁকুড়ার সভা থেকে এই দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। যা বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বঙ্গ বিজেপি প্রধান সুকান্ত মজুমদার।
কার্তিক মহারাজকে নিয়ে কী বলেছেন মমতা?
কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে গত শনিবার সরাসরি বিজেপির সমর্থনে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মমতাকে আইনি নোটিস পাঠিয়ে দিন চারেকের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেছেন ওই মহারাজ। আইনি এই টানাপোড়েনের মধ্যেই সোমবার ফের কার্তিক মহারাজকে নিসানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে রেজিনগরে ভোটের ২ দিন আগে দাঙ্গা করেছিল সেখানে ওনার আশ্রম। উনি আশ্রম চালান। আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম ওখানে তৃণমূলের এজেন্ট নেই কেন? বলল, কার্তিক মহারাজ বলেছে তৃণমূলের এজেন্টকে আমরা বসতে দেব না। ওখানে কিছু লোককে ক্ষেপিয়েছে যারা ছানার ব্যবসায়ী। খবর আমিও রাখি।’
কার্তিক মহারাজকে বিজেপি করার পরামর্শ দিয়ে মমতা বলেন, ‘এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধর্মের নামে আপনি বিজেপি করে বেড়ান। আমি বলছি আপনি করুন। কিন্তু বিজেপির চিহ্নটা বুকে লাগিয়ে রেখে করুন। লুকিয়ে লুকিয়ে কেন? আমি যেটা বলি, আমি প্রমাণ ছাড়া বলি না।’
কী দাবি অদীর চৌধুরীর?
কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘কার্তিক মহারাজ কে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো করে জানেন। আর মুর্শিদাবাদে যে দাঙ্গা হবে সেটা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকে বলে দিয়েছিলেন। ডিআইজি মুকেশ কুমারকে যখন নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল তখন উনি বলেছিলেন, এরপর দাঙ্গা হলে রাজ্য সরকারের দায় নয়। রেজিনগরের দাঙ্গা তৃণমূলই করিয়েছেন। কারণ উনি ভোটের মেরুকরণ করতে চেয়েছিলেন। যাতে কংগ্রেসকে হারানো যায়।’
কার্তিক মহারাজ আগে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেও দাবি বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদের। বলেন, ‘কার্তিক মহারাজ বিজেপি ঘনিষ্ঠ এটা সবাই জানানে। উনি গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন। গত ভোটে শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে ওনাকে হাত করে আমাকে হারানোর পরিকল্পনা করেছিলেন মমতা।’
সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য-
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রেজিনগরে হিন্দুদের রাম নবমীর মিছিলের ওপর আক্রমণ হয়েছে। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে। কার্তিক মহারাজ কী করেছেন জানি না। কিন্তু হিন্দুদের মিছিলে আক্রমণ হলে হিন্দুরা চুপ করে বসে থাকবে না কি? হিন্দুদের মিছিলে হামলা হলে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও প্রয়োজনে প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার হিন্দুদের রয়েছে।’