এবার সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) জাতীয় স্তরে ইস্যু করতে চাইছে তৃণমূল। পাশা বদলে গিয়েছে। যে সন্দেশখালিকে একসময় বিজেপি হাতিয়ার করেছিল। এবার সেই সন্দেশখালি নিয়েই রাজধানী দিল্লিতে তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের দুই নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ।
চব্বিশের ভোটে ইস্যু সন্দেশখালি। এই সন্দেশখালি নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি নেতা তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সন্দেশখালিকে জাতীয় ইস্যু করে আসরে নামে পদ্ম শিবির। এরপর বাংলায় এসে সন্দেশখালি অস্ত্রে শান দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বারবার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে সন্দেশখালির কথা। বারাসাতের সভায় বলেন, ‘বাংলাজুড়ে সন্দেশখালি ঝড় উঠবে’।
সন্দেশখালি এলাকাটি বসিরহাট লোকসভার মধ্যে পড়ে। সেই বসিরহাটে বিজেপি প্রার্থী করেছে রেখা পাত্রকে। যিনি সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম মুখ। রেখাকে ফোনও করেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা ভোটে সন্দেশখালিকে অস্ত্র করে বিজেপি। সেই পাশাই এখন বদলে গিয়েছে। সন্দেশখালিকে অস্ত্র করে এবার আসরে তৃণমূল। তারাও চাইছে দেশজুড়ে পালটা প্রচার। সন্দেশখালিকে জাতীয় ইস্যু করতে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক তৃণমূলের।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রীকে। বলেন, ‘সন্দেশখালির আসল দোষী এই বিজেপি। মহিলাদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। কোনও ছোট নেতা করেনি। এই ষড়যন্ত্র জাতীয় স্তরের নেতারা করেছে। প্রধানমন্ত্রী কি জানতেন যে এটা মিথ্যা অভিযোগ? জানর পরেও কি তিনি মিথ্যা বলছেন?’
রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের নেতা শশী পাঁজা বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার বাংলায় এসে সুড় চড়িয়েছেন। রাজনীতির ময়দানে ব্যবহার করেছেন এবং জাতীয় স্তরে বাংলার বদনাম করেছেন।’ একইসঙ্গে শশীর হুংকার, ‘বিজেপিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলাম। বাংলার মহিলাদের কাছে ক্ষমা চান।’