Accident: রেললাইনে দাঁড়িয়ে ইনস্টাগ্রাম রিল, যুবতীকে পিষে দিল ট্রেন

রেললাইনে দাঁড়িয়ে রিল বানানোর সময় যুবতীকে পিষে (Accident) দিল ট্রেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবতীয়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের রুরকির। বৃহস্পতিবার রুরকিতে রেললাইনের ধারে মোবাইলে…

Instagram-reel

রেললাইনে দাঁড়িয়ে রিল বানানোর সময় যুবতীকে পিষে (Accident) দিল ট্রেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবতীয়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের রুরকির। বৃহস্পতিবার রুরকিতে রেললাইনের ধারে মোবাইলে ইনস্টাগ্রাম রিলের ভিডিয়ো বানাচ্ছিলেন ওই যুবতী। আচমকাই ট্রেন চলে আসে। রিলে মত্ত থাকায় ট্রেনের হর্নও শুনতে পারেননি তিনি। ফলে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ২০ বছরের ওই যুবতীর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রুরকির শিবপুরম এলাকায়। বৈশালী নামে ওই যুবতী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে রিলের ভিডিয়ো করছিল। বৈশালী রিল নিয়ে মেতে থাকায় ট্রেনটিকে খেয়াল করেননি। তাঁর বন্ধুও বুঝতে পারেননি যে ওই লাইনে ট্রেন আসছে। আচমকাই দ্রুতগামী ওই ট্রেনটি বৈশালীকে চাপা দেয়। তাঁর বন্ধু বাড়ি গিয়ে বৈশালীর পরিবারকে দুর্ঘটনার খবর জানায়।

   

হরিদ্বারের হরিপুর টঙ্গিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বৈশালী। তবে পড়াশোনার সূত্রে মামার কাছে রুরকিতে থাকতেন তিনি। সেখানকারই একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তেন ওই যুবতী। ২ মে বৈশালী যখন রেললাইনের ধারে একটি রিলের শুটিং করছিলেন, সেই সময় বারমের এক্সপ্রেস তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। এর ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কলেজ ছাত্রীর।

গাংনাহার থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) গোবিন্দ রাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেয়েটি ও তাঁর বন্ধু রেললাইনের ধারে রিল শুটিং করছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মেয়েটির আত্মীয়দের খবর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে এই দুর্ঘটনার পর বিপজ্জনক ভাবে রিল শুট না করার অনুরোধ জানিয়েছে হরিদ্বার পুলিশ। এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে হরিদ্বার পুলিশ লিখেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতি পেতে গিয়ে তরুণরা প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ রিল তৈরি করে প্রাণ হারাচ্ছে। আপনি কি এমন ভুল করছেন?

গত বছর ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলার একটি কলেজে বন্ধুদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম রিল বানানোর সময় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ২০ বছরের এক যুবকের। বিলাসপুরের সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি ওই ব্যক্তির এক বন্ধু মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই ভিডিয়োই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়।