আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে (T20 World Cup Squad) সুযোগ পাননি রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। তাঁকে রাখা হয়েছে বিশ্বকাপের রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে। কেন স্কোয়াডে জায়গা পেলেন না রিঙ্কু? ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে রয়েছে এই প্রশ্ন। অনেকের অনুমান, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের জালে আটকা পড়েছেন আইপিএল-এর অন্যতম সেরা ফিনিশার।
কলকাতা নাইট রাইডার্স রিঙ্কুকে আইপিএল ২০২৪-এ দেশের অন্যতম সেরা ফিনিশারের ভূমিকায় তুলে ধরেছিল। জাতীয় দলের হয়েও বেশ কিছু বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন তিনি। এ বছরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রিঙ্কুকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না. ব্যাটিং করতে আসছেন অনেক পরে। কেকেআর একাধিক ম্যাচে তাঁকে ব্যবহার করেছে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে।
চলতি মরসুমে নাইট রাইডার্সের মেন্টর গৌতম গম্ভীর এবং অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কলকাতা দলের হয়ে ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার, ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং অংকৃশ রঘুবংশী অপার মিডল অর্ডারে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন বেশিরভাগ ম্যাচে। ফলে রিঙ্কু এবার সুযোগ পেয়েছেন কম। শ্রেয়স নিজে চার নম্বরে ব্যাট করতে এসেছেন। অন্যদিকে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে ডেথ ওভারে রিঙ্কুর চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
রিঙ্কুকে প্রমোট না করার জন্য নাইট রাইডার্সকে অবশ্য পুরোপুরি দোষ দেওয়া যায় না। তবে শ্রেয়স কিংবা ভেঙ্কটেশকে কখনই জাতীয় দলে নির্বাচনের দাবিদার বলে মনে করা হয়নি। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁদেরকেই পাবার প্রধান্য দিয়েছে।
চেন্নাই সুপার কিংসের মাস্টার মাইন্ড মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০২১ মরসুম থেকে আরও বেশি করে দুবেকে ব্যবহার করেছেন। দল নির্বাচনের আগে রিঙ্কু আট ইনিংসে খেলেছেন মাত্র ৮২ বল, যা প্রতি ইনিংসে প্রায় ১০ বল। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ২০৩ বল পেয়েছেন দুবে। যা ম্যাচ প্রতি প্রায় ২৩ বল, রিঙ্কুর চেয়ে ১৩ বল বেশি। দুবে ইতিমধ্যে ২৪টি চার ও ২৬টি ছক্কা মেরেছেন। রিঙ্কু ৮২ বলে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।