নিউজ ডেস্ক: রাত ৯টা ৪০। উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর স্টেশনে(lalitpur station) ঢুকছে খাজুরাহো-কুরুক্ষেত্র এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনের এইচএ-১ বগিতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন বিজেপি সাংসদ উমা ভারতী (uma bharati)। হঠাৎই তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন ট্রেনে বোমা আছে। সাংসদের চিৎকারে ছুটে আসেন রেল রক্ষীরা।
প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রেখে সমস্ত যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দিয়ে তল্লাশি চালায় রেলরক্ষীরা। সাংসদের চিৎকারে গোটা স্টেশন ও ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও সেই তল্লাশি অভিযানে বোমার কোনও চিহ্ন মেলেনি। কিন্তু বোমাতঙ্কের কারণে ট্রেনটিকে প্রায় দু’ঘণ্টা ললিতপুর স্টেশনে দাঁড়ি করিয়ে রাখা হয়। বিজেপি সাংসদ হঠাৎই কেন এভাবে বোমাতঙ্ক ছড়ালেন তা বোধগম্য হয়নি পুলিশের (police)। উল্লেখ্য, উমা ওই ট্রেনে মধ্যপ্রদেশের টিকমগড় (tikamgarh) থেকে দিল্লি (delhi) যাচ্ছিলেন।
উমা ভারতী হঠাৎই কেন বোমা বোমা বলে চিৎকার করে উঠলেন সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি। সাংসদ নিজেও কিসের ভিত্তিতে বোমা রাখার কথা বললেন তা তিনি জানাননি। শোনা যাচ্ছে, নেত্রীর মনে ট্রেনে বোমা আছে এমন একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সে কারণেই তিনি সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পুলিশকে জানান। কেন্দ্রের শাসক দলের সাংসদদের কাছ থেকে এই সতর্কবার্তা পেয়ে পুলিশ অবশ্য কোনও ঝুঁকি নেয়নি। সঙ্গে সঙ্গেই আরপিএফ ও জিআরপি চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। আনা হয় ডগ স্কোয়াডের সদস্যদের।
ললিতপুর থেকে ট্রেনটি ঝাঁসি পৌছলে শেখানও একদফা কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি সাংসদের নিরাপত্তাও বাড়ায় পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত ওই ট্রেনে কোনও সমস্যা হয়নি। তবে ঘটনার জেরে নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছুটা পর নিরাপদেই ওই ট্রেন দিল্লি পৌঁছয়।
যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য সাংসদের এই আচরণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, শাসক দলের সাংসদ নিজের ক্ষমতা দেখাতেই অকারণে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছেন। এটা যদি অন্য কোনও যাত্রী করত তবে পুলিশ আইনমাফিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। কিন্তু শাসক দলের সাংসদ হওয়ার কারণে ছাড় পেয়ে গেলেন উমা। বরং তিনি সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিলেন।