এশিয়ান প্রতিযোগিতায় এবার ভালো কিছু করে দেখাতে পারেনি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো করেছিল। গ্রুপ পর্বের শেষের দিকে এসে নিজেদের পরিচিত খেলা খেলতে পারেনি মোহনবাগান। ওড়িশা এফসি, বসুন্ধরা কিংসের মতো দলের কাছে বাধা পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
ওড়িশা এফসি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ক্লাব। বসুন্ধরা কিংসের বিদেশি ব্রিগেড ভালো, কিন্তু দল হিসেবেও কি মোহনবাগানের থেকে ভালো? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। জাতীয় ট্রফি তো বটেই, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও ভালো কিছু করে দেখানোর আশায় জেসন কামিন্স-আর্মান্দো সাদিকুদের সই করানো হয়েছিল।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ছাড়াও ওড়িশা এফসি, মুম্বই সিটি এফসি আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে অংশ নিয়েছে। ভারতীয় ফুটবল প্রেমীরা জানেন তিন ক্লাবই বিদেশি ক্লাবের বিরুদ্ধে বলার মতো কিছু করে দেখাতে পারেনি। বিদেশি ক্লাব ও ভারতের চ্যাম্পিয়ন দলের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়?
একটা হতে পারে বিদেশি ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবলে যে সব বিদেশি ফুটবলাররা খেলছেন তাদের অনেকেই নিজেদের সেরা সময় অতিক্রম করেছেন। এশিয়ার অগ্রণী ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। কেরিয়ারের প্রাইমে থাকা কিংবা কয়েক মরসুম চুটিয়ে খেলতে পারবেন এরকম ফুটবলারকে দলে নেওয়া হয়। ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে অর্থ অন্যতম প্রতিবন্ধকতা।
নিজের ক্রিকেট দল লখনউ সুপার জায়ান্টে বিশ্বের অন্যতম সেরা, প্রতিশ্রুতিবান ক্রিকেটাররা রয়েছেন। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টই-বা পিছিয়ে থাকবে কেন? ক্রীড়া প্রেমী সঞ্জীব গোয়েঙ্কা সবুজ মেরুন দল গঠন করার জন্য আরও অর্থ ব্যয় করতে পারেন। নতুন মরসুমের জন্য স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত করাতে পারেন আরও ভালো মানের বিদেশি ফুটবলার।