সাহাল আব্দুল সামাদ (Sahal Abdul Samad’) ফিট বলে জানা গিয়েছিল। দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন পুরো দমে। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে প্রথম লেগের সেমিফাইনালে তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখেছিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ অ্যাণ্টোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। দলের মাঝমাঠ যখন প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করতে পারছিল না, তখনও কেন সাহালকে মাঠে নামানো হয়নি? এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন কোচ।
ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে প্রথম লেগের সেমিতে ১-২ গোলে হেরেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সের্জিও লোবেরার দলের বিরুদ্ধে মাঝমাঠে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি বাগানের মাঝমাঠ। বাগান সমর্থকদের একাংশ আশা করেছিলেন হাইভোল্টেজ ম্যাচে সাহালকে মাঠে নামাবেন হাবাস। কিন্তু তিনি তাঁকে কাজে লাগাননি।
ম্যাচের পর হাবাস জানিয়েছেন, সাহালকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী দল পারফর্ম না করায় সাহালকে আর মাঠে নামাননি তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা সাহালকে বদলি হিসেবে নামাতে চেয়েছিলাম। সব ঠিকঠাক চললে সাহালকে হয়তো ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার তিরিশ মিনিট আগে মাঠে নামাতাম। কিন্তু ম্যাচটা জটিল হয়ে গিয়েছিল। সাহালকে মাঠে নামানোর আদর্শ সময় এটা ছিল না।”
হাবাস স্পষ্ট করেছেন সাহাল আব্দুল সামাদ মাঠে নামার জন্য তৈরি। রিকভারি হয়েছে ভালোভাবে, “আমরা ওর (সাহাল) জন্য অপেক্ষা করছি। সাহালের রিকভারি ভালো হয়েছে।”
প্রথম লেগের ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট জিততে না পারলেও সবুজ মেরুন ব্রিগেডের সামনে এখনও আশার আলো রয়েছে। পরের লেগের ম্যাচ হবে কলকাতায়। সেখানে জিতলে মোহনবাগানের সামনে খুলে যাবে ফাইনাল ম্যাচে যাওয়ার দরজা।