উত্তর চব্বিশ পরগণার গাইঘাটায় ঘটল একটি রোমহর্ষক ঘটনা। কুড়ুলের কোপে একজনকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই খুনের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর ওপর অনেকদিন ধরেই স্থানীয় এক ব্যক্তি কুনজর দিচ্ছিল। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ওই ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর হাজরাতলা এলাকায়। ধৃতের নাম পরিতোষ দাস বলে এবং মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। পুলিশে অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে গতকাল রাতে ধৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিলেন মৃত ওই প্রবীণ। অভিযোগ, বাড়ি ঢুকে উঁকি মারছিলেন তিনি। তাঁকে দেখতে পেয়ে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারে পরিতোষ। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর মাথায় ও মুখে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর বক্তব্য ওই প্রবীণ ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর দিকে কুনজর দিচ্ছিল। গতকাল বিকেলেও তাঁর বাড়িতে অসৎ উদ্দেশ্যে এসেছিল বলে জানিয়েছেন। সেই ক্ষোভেই তিনি ওই প্রবীণ ব্যক্তিকে কুড়ুলের আঘাতে হত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। মৃতের স্ত্রী সবিতা মণ্ডলের আবার বক্তব্য, স্বামী তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না। তবে তিনি এলাকায় সকলের উপকার করতেন। কী কারনে তাঁকে খুন করা হল, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নেই তাঁর। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।