ফের সিঙাড়াকাণ্ড। এবার ঘটনাস্থল পুণে। অভিযোগ উঠেছে, পুণের এক অটোমোবাইল সংস্থার ক্যান্টিনে রোজই সিঙাড়া বিক্রি হয়। কর্মীরা তা কিনে খানও। কিন্তু এরই মধ্যে একদিন, সিঙাড়ায় কামড় দিতেই চমকে ওঠেন এক ব্যক্তি। ওই সিঙাড়ার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে অদ্ভুত সব জিনিস। কোনও সিঙাড়া থেকে কন্ডোম, তো কোনওটা থেকে পাথর বা তামাক।
পুণের পিম্পরি-চিনচরে রয়েছে ওই অফিস। সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনজন পার্টনার মিলে গোটা পরিকল্পনা করে এই ব্যবসা করে। আর ওই অটোমোবাইল সংস্থার দুই কর্মীও এই ঘটনা ঘটাতে সাহায্য করে। তবে যে সংস্থার হাতে এই ক্যান্টিনে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব ছিল, তা পরে বদলে অন্য একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক সকলে!
এদিকে, সম্প্রতি ভাদোদরার পানিগেট এলাকাতেও ঘটে যায় সিঙাড়াকাণ্ড! জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ভাদোদরার ওই এলাকার হুসেইনি সামোসা সেন্টারে হানা দেয় এবং সেখান থেকে প্রায় ১১৩ কেজি মাংস বাজেয়াপ্ত করে। এটি পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। দোকান মালিক ইউসুফ শেখ এবং নঈম শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হয় দোকানের চার কর্মীও।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় দোকান মালিক জানায়, এই গরুর মাংস তাদের দিত ইমরান কুরেশি নামের এক ব্যক্তি। তাদের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ ইমরানকেও গ্রেফতার করে। ভাদোদরার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ পান্না মোমায়া জানান, খবর পেয়ে হানা দিয়ে ৬১ কেজি সামোসা, ১১৩ কেজি গরুর মাংস, ১৫২ কেজি সামোসার উপকরণ বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুজরাট প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১৭ অনুযায়ী গোহত্যা প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশপাশি ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকা অবধি জরিমানা হতে পারে।