যুবভারতীতে তিন দলের ম্যাচ করানো আদৌ কি সম্ভব? উত্তর দিলেন ফিফা স্বীকৃত গ্রাউন্ডসম্যান

প্রীতম সাঁতরা: আই লিগে সেরা হয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এবার লক্ষ্য ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, ইস্টবেঙ্গল এফসি ইতিমধ্যে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে হোম গ্রাউন্ড হিসেবে…

salt lake stadium

short-samachar

প্রীতম সাঁতরা: আই লিগে সেরা হয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এবার লক্ষ্য ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, ইস্টবেঙ্গল এফসি ইতিমধ্যে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। মহামেডান খেলবে কোন মাঠে? ময়দানের ফুটবলার প্রেমীদের মধ্যে উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন।

   

একই মাঠে আদৌ কি তিন দলের খেলা সম্ভব? মাঠ তৈরি করতে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় মাঠ কর্মীদের? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল ফিফা স্বীকৃত গ্রাউন্ডসম্যান শংকর ধর-কে। তিনি জানিয়েছেন, “যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তিন দলের হোম গ্রাউন্ড না হওয়াই ভালো। মাঠের ওপর প্রচুর চাপ পড়বে। বিকল্প কোনও মাঠের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।”

যুবভারতী ছাড়া আর কোন কোন মাঠে আয়োজন করা যেতে পারে ম্যাচ? শংকর ধর জানিয়েছেন, “যুবভারতী ছাড়াও বেশ কিছু মাঠ রয়েছে। শিলিগুড়ি স্টেডিয়াম, কল্যাণীরl, নৈহাটির মাঠ রয়েছে, ব্যারাকপুরের মাঠ রয়েছে। এই মাঠগুলোকে বিকল্প ভ্যেনু হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।”

“দু’টো ম্যাচের মাঝখানে অন্তত দু’দিনের দিলে ভালো। দু’দিনের গ্যাপ থাকলে মাঠ তৈরি করতে কর্মীদের সুবিধা হয়। যুবভারতীতে পরপর যে ম্যাচ হয়নি তেমনটা না। পরপর ম্যাচও হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে পরপর ম্যাচ থাকলে মাঠের মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।”

শংকর ধর জানিয়েছেন, “জল মাঠে জমছে কি না সে আগে লক্ষ্য করতে হয়। গ্রাউন্ড থেকে জল বের করার কাজ আগে। তারপর মাঠে সমান কি না সেটা দেখতে হয়। মাঠ অসমান হলে ফুটবলারদের চোট আঘাতের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। অবশ্য এখন আইএসএল-এর বেশিরভাগ মাঠ স্যান্ড বেস। আগে বর্ষাকালে জল-কাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যা ছিল। এখন এই সমস্যাটা কমেছে। তবে কখনই একই মাঠে পরপর ম্যাচ খেলানো উচিৎ নয়। দু’টো দলের জন্য মাঠ তৈরি করতেই কর্মীদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তিনটে দল খেললে চাপ আরও বাড়বে।”