NEWS DESK: দক্ষিণ ২৪ পরগণার (S24PGS) বারুইপুরের (BARUIPUR) বেগমপুর জ্ঞানদা প্রসাদ ইনস্টিটিউশন। লকডাউনের পর ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুলেছে। কিন্তু ক্লাসে দেখা নেই পড়ুয়াদের। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই মাড়াতে চাইছে না স্কুলের চৌহদ্দি।
এবার স্কুলছুটদের স্কুলমুখী করতে উদ্যোগ নিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পড়ুয়াদের বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে গেলেন শিক্ষকরা। অভিভাবকদের অনুরোধ করলেন, যাতে নিজের সন্তানদের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাঁরা। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি এই অনীহার কারণ। ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি-বাড়ি ঘুরে শিক্ষকদের অভিমত, প্রথমে কোভিডের জেরে লকডাউন।
তারপর পর পর প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে ঠেকেছে। তারই জেরে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। বেশিরভাগ বাড়িতেই কন্যাসন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ করিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসাচ্ছেন তাদের বাবা-মা। ফলে আগামীতে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছেড়ে গাঁটছড়া বাঁধতে হচ্ছে অনেক নাবালিকাকেই। পরিবারের অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে ছোট-ছোট ছেলেদের কাজে ঢুকিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বাবা-মা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কুলে ক্রমশই কমছে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। তাই ছেলেমেয়েদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে বাড়ি-বাড়ি ঘুরেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাই।
শুধু বেগমপুর জ্ঞানদা প্রসাদ ইনস্টিটিউশনই নয়, এই চিত্র দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ জেলাতেই। লকডাউনে অনেকেই খুঁইয়েছেন কাজ। তাই রুজিরুটি জোগারের চাহিদায় পরিবারের ছেলেমেয়েদের আগামীর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন অভিভাবকরাই। তাই স্কুলে পড়াশোনা করানোর পাশাপাশি স্কুলছুটদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের বাবা-মা-কে বোঝানোর চেষ্টা করছেন মাস্টারমশাইরা। সেদিক থেকে নজির স্থাপন করে কুলতলি ব্লকের জামতলা ভগবান চন্দ্র হাই স্কুলের শিক্ষকরাও। সম্প্রতী ওই স্কুলের পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন পৌঁছে দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।