গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) শেষকৃত্য (জানাজা) আজ তার জন্মস্থান উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বহু চর্চিত মাফিয়া রাজনীতিক। স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িত অত্যন্ত গৌরবশালী পরিবারের সন্তান হয়েও মুখতার আনসারি ছিল একজন মাফিয়া। বহু খুন লুঠ ও বাহুবলী রাজনীতিক। লোকসভা ভোটের আগেই জেলে তার মৃত্যুর কারণ বিষ প্রয়োগ এমনই অভিযোগ তুলেছে আনসারির পরিবার।
শনিবার সকালে মাফিয়া রাজনীতিক মুখতার আনসারির মরদেহ গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সকাল ১০টার দিকে জানাজা (শেষকৃত্য) হবে। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালাবে পুলিশ। জানা গেছে লখনউ থেকে সর্বক্ষণ পরিস্থিতি দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
এদিকে, মৃত মুখতার আনসারির ছেলে আব্বাস আনসারিও জেলে বন্দি। তিনি তার বাবার শেষকৃত্যে যোগদানের অনুমতি চান। তিনি দাবি করেছেন জেলে বিষ খাইয়ে বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। বান্দার একটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মুখতার আনসারির মরদেহ গাজিপুরে এনে কবর দেওয়া হবে। গাজীপুর এবং মৌ সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে, যেখানে মুখতার আপনার পাঁচ বার বিধায়ক ছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান তথা বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদব সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে অসুস্থ হয়ে পড়ে একজন বন্দীর মৃত্যু বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করবে। সরকারে থাকা বিজেপি বলেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য সুযোগ খুঁজছে বিরোধীরা। আর বিরোধী দলগুলি সিবিআই তদন্ত বা উচ্চতর বিচার বিভাগকে জড়িত তদন্তের দাবি করেছে।
উত্তর প্রদেশ জুড়ে CrPC এর 144 ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে এবং বান্দা, মৌ, গাজিপুর এবং বারাণসীতে স্থানীয় পুলিশের সাথে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) এর দল মোতায়েন করা হয়েছে।