ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি স্থানের মাহাত্ম্যই আলাদা৷ প্রত্যেকটি স্থানকে কেন্দ্র করে রয়েছে কোনও না কোনও গল্প, জনশ্রুতি৷ তেমনই একটি স্থান হল বৃন্দাবনের নিধিবন৷ এই নিধিবন যতটা সুন্দর, ততোটাই রহস্যে মোড়া৷ বহু জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে এই স্থানকে ঘিরে৷
বিশ্বাস করা হয় যে, এখানে প্রতি রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে রাসলীলা করেন। কিন্তু যাঁরা এই রাসলীলা দেখার চেষ্টা করেছেন তাঁরা হয় পাগল হয়ে গিয়েছেন, নাহলে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে৷ তাই দিনের আলো ফুরিয়ে আসার আগেই খালি করে দেওয়া হয় নিধিবন৷ শোনা যায়, শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখিও সন্ধের পর এই বন ছেড়ে চলে যায়।
কথিত আছে, নিধিবনের রংমহলে সন্ধ্যাবেলা ভগবান কৃষ্ণ ও গোপীদের অন্ন দেওয়া হয়৷ থালায় পান ও লাড্ডু ভোগ হিসাবে রাখা থাকে। প্রতি রাতে সন্ধ্যারতির পর মন্দিরে রূপোর পালঙ্ক সাজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু রোজ ভোরবেলা মন্দিরের মধ্যে সে সব কিছু ছড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়, যেন কেউ ব্যবহার করেছে সেই সবকিছু৷ ছড়িয়ে থাকে শাড়ি, শৃঙ্গারের দ্রব্য৷ এলোমেলো অবস্থায় থাকে বিছানাও৷ কারও কারও মতে, কোনও মানুষ বা পশুর কাজ হতে পারে৷ কিন্তু তা আজ পর্যন্ত প্রমাণ করা সম্ভবপর হয়নি৷
আরও একটি আশ্চর্যের বিষয় হল, বহু পুরোনো এই স্থানে রয়েছে অগণিত তুলসী গাছ৷ কিন্তু বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই তুলসী গাছগুলি আলোর বিপরীতেই বেড়ে চলেছে। স্থানীয়দের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, এই তুলসী গাছগুলি আসলে শ্রীকৃষ্ণের গোপী, যারা রাতে মানুষের রূপ ধারণ করে রাসলীলায় মেতে ওঠেন৷ আবার, বনে থাকা কোনও গাছের কাণ্ড সোজা নয়। প্রতিটি গাছের শাখা-প্রশাখা জড়িয়ে আছে একে অপরের সঙ্গে৷ বৃন্দাবন এমনিতে শুষ্ক হলেও নিধিবনের গাছগুলি কিন্তু চিরহরিৎ৷
স্থানীয়দের অনেকে আবার এও দাবি করেন যে, রাতের বেলা সাধুসন্তরা ওই এলাকায় বাঁশি এবং নুপুরের শব্দ শুনতে পান৷ এমনই নানান জনশ্রুতি আজও ঘিরে রয়েছে নিধিবনকে৷ একবার ঘুরে আসবেন নাকি?
আরও পড়ুন: বাড়ির কোন দিকে মানি প্ল্যান্ট লাগালে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে, জানেন কি?
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তুলে ধরা হয়েছে৷