Srijit: টলিউডের অন্যতম পরিচালক সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়। প্রেম ভালোবাসা রোম্যান্স থ্রিলার সবেতেই তিনি অনবদ্য। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির হীরের সমান সৃজিৎ। বলিউডে সেভাবে না গেলেও সৃজিৎ সুনাম এখন বচ্চনের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে। অভিতাভ বচ্চনও নাকি তাঁর কাজের খোঁজ রাখেন। সে কথাই নিশ্চিত করে এদিন সৃজিৎ বললেন, ‘সাধারণত আমি যা কাজ করি, মিস্টার বচ্চন তার খোঁজ রাখেন। জন্মদিনে কথা হয়। নতুন কিছু ইন্টারেস্টিং কাজ করলেই ওঁকে জানাই। ‘পদাতিক’-এর সময়ে ওঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে মৃণাল সেনের থেকে পাওয়া ৩০০ টাকা দিয়েই ওঁর সিনেমার পথ চলা শুরু হয়েছিল কি না। উনি জানিয়েছিলেন যে, এটাই ঠিক তথ্য। এমনকি ছবির পোস্টারও উনি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।’
আসন্ন ছবি অতি উত্তমে স্বয়ং উত্তম কুমারকে ফুটিয়ে তুলতে ঠিক কতটা কাঠখড় পুড়িয়েছেন সৃজিৎ। উত্তর দিতে গিয়ে পরিচালক দাবি করলেন, খুব কঠিন ছিল। ছবির ভিএফএক্স মান নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। আসলে মহানায়কের একাধিক পুরনো ছবির প্রিন্টের অবস্থা খুবই শোচনীয়। ‘নায়ক’-সহ খুব কম সংখ্যক রেস্টোর করা গিয়েছে। সেই মতো চিত্রনাট্য সাজানো গিয়েছে। সৃজিতের নিজের ভাষায়, ‘৫৪ বার চিত্রনাট্য আবার লিখতে হয়েছে। তার থেকেও বড় কথা, নেগেটিভ, ডিজিটাল ও স্যাটেলাইট স্বত্ব যাঁদের কাছে রয়েছে তাঁদের খুঁজে বার করাটা সব থেকে কঠিন। কারও দাদু হয়তো একটাই উত্তমকুমারের ছবি প্রযোজনা করেছিলেন। তাঁদের এখন এসি’র ব্যবসা! কারও বর্তমান বংশধর হয়তো এখন হোটেল চালান। এটা নিয়েই একটা আলাদা তথ্যচিত্র তৈরি হতে পারে।’
সৃজিৎ এদিন পারিবারিক ছবি নিয়েও স্পষ্ট কথা বলেছেন। তাঁর মতে, পারিবারিক ছবিই আসলে মূলধারার ছবি। অনেকে এটি নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছে এটি।
View this post on Instagram