নিউজ ডেস্ক: সিকিম থেকে দার্জিলিং এরপর কোনদিকে? করোনার ভয়াবহ ডেল্টা ধরণের গতি নিম্নমুখী অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গের দিকে। এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ ছড়াচ্ছে করোনারভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরণ বা ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের রিপোর্ট, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন রোগীর দেহে মিলেছে ডেল্টা ধরণ। কোচবিহার ও দুই দিনাজপুর থেকে তেমন খবর আসেনি।
করোনার ডেল্টা ধরণটির সংক্রমণ কেমন? গোটা দেশ এর সাক্ষী। তবে পশ্চিমবঙ্গে ডেল্টা তেমন আসেনি। এবার তার টার্গেট এই রাজ্য। পরিস্থিতি যে ফের পশ্চিমবঙ্গে জটিল হবে তা থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের এই তীব্র সংক্রামক ধরণটি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শঙ্কিত। তাঁরা মনে করছেন, ডেল্টা ফের বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। ডেল্টা হামলায় ইতিমধ্যেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া জুড়ে চলছে হাহাকার। বাংলাদেশে ডেল্টা ধরণটি ছড়িয়েছে। বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে চিকিৎসা সংকট।
হু জানাচ্ছে, করোনার ডেল্টা বা ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে স্তব্ধ হতে চলেছে পুরো পশ্চিম এশিয়া। এই অঞ্চলের ইরান, ইরাক সহ উত্তর আফ্রিকার কিছু দেশে হু হু করে ছড়িয়েছে ডেল্টা। পশ্চিম এশিয়ায় হু আঞ্চলিক প্রধান আহমদ আল মান্ধারির দাবি, চতুর্থ ঢেউ চলছে।
সিকিম স্তব্ধ। ডেল্টার হানায় কুঁকড়ে গেছে লাল পান্ডার স্বর্গরাজ্য। সেখান থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই পার্বত্য জেলায় সংক্রমণ ছড়াতে থাকায় উত্তরের আকাশে ভয়ের মেঘ। দক্ষিণেও সেই ভয় ছড়াচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
টিকা না নেওয়ার গাফিলতিই ডেল্টা সংক্রমণের কারণ। যে ধরনের টিকা মিলছে তা করোনা প্রতিরোধে উপযুক্ত। সংক্রমণ হলেও টিকা গ্রহীতার মৃত্যুর সম্ভাবনা বহু কমে যায়।