নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: নির্বাচনী সংস্কারের (election reforms) ক্ষেত্রে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্র জানিয়েছে, আধার ও ভোটার কার্ডের (Aadhar and voter card linking) সংযুক্তিকরণ করা হবে। অর্থাৎ এবার আধার কার্ডও ভোটার কার্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, যারা প্রথমবার ভোট দেবেন তাঁরা ভোটার তালিকায় (voter list) নাম তোলার জন্য বছরে চারটি সুযোগ পাবেন। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের ভোট প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনতে এই গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।
এতদিন মানুষ প্যান ও আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া দেখেছে। ঠিক সেই একই পদ্ধতিতে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্ত করা হবে। তবে প্যান ও আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ ছিল বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে অবশ্য সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ কেউ চাইলে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড সংযুক্ত করতে পারেন। না চাইলে সেটা নাও করতে পারেন। দেশের শীর্ষ আদালত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার সংক্রান্ত যে রায় দিয়েছিল তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত যে পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছিল তাতে যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। কমিশনের দাবি আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ হলে জাল ভোট দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ একই লোকের দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার কোনও সুযোগ থাকবে না। ভোটার তালিকাও সুরক্ষিত থাকবে। কমিশন আরও জানিয়েছে, নতুন যারা ভোটার হবেন তাঁরা বছরে চারবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ পাবেন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বছরে একবারই ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ থাকে নতুন ভোটারদের কাছে। এবার সেটাই বেড়ে চারবার হচ্ছে।
একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ভোটার আইনকে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ করার উদ্যোগও নিয়েছে। সার্ভিস অফিসারদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মে কোন মহিলা অফিসারের স্বামী ভোট দিতে পারবেন। বর্তমান আইনে কেবলমাত্র কোনও পুরুষ সার্ভিস অফিসার স্ত্রীর ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। মহিলা সার্ভিস অফিসারের স্বামীরা এতদিন সেই সুযোগ পেতেন না