নিবেদিতা দে: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। বঙ্গে এসে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে গেলেন মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। আরামবাগ, কৃষ্ণনগরে জনসভায় দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে বিঁধলেন তৃণমূলকে। বাংলার সব স্কিম, স্ক্যামে পরিণত করেছে তৃণমূল বলেই কৃষ্ণনগরের সভায় মন্তব্য করেন মোদী। টানলেন রেশন বণ্টন দুর্নীতির প্রসঙ্গও।
তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এদিন মোদী-কণ্ঠে উধাও CAA প্রসঙ্গ। নদিয়ার বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে মতুয়াদের বাস। নাগরিকত্ব নিয়ে কি বার্তা দেন মোদী, তা শুনতে এদিন বনগাঁও লোকসভা কেন্দ্র থেকেও বহু মতুয়া ছুটে আসেন। যেহেতু মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের নাগরিকত্বের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু হতাশ মতুয়ারা। নাগরিকত্ব নিয়ে একটি কথাও শোনা গেলো না তাঁর মুখে। যদিও গত লোকসভা থেকেই মতুয়াদের একটা বড় অংশ বিজেপির ব্যাংক।
রানাঘাট ২/এ ব্লক সভাপতি মনোজিৎ বিশ্বাসের কথায়, আমি নিজে একজন মতুয়া। গোঁসাইরা বুঝে গেছে এসব বিজেপির ভাঁওতা। গত লোকসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব দেবার কথা বলে ভোট ভাঁওতা দিয়েছিল, এবার আবার ভোটের আগে এসেছেন ভাঁওতা দিতে।
তবে তৃণমূলের কথায় আমল দিতে নারাজ মতুয়া মহাসংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। পাল্টা তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তার প্রশ্ন CAA -র কেনো বিরোধিতা করছে তৃণমূল? ক্ষমতা থাকলে CAA -কে সমর্থন করুক। শুধু তাই নয় ভোটের আগেই মতুয়ার নাগরিকত্ব পাবে বলে দাবি করছেন শান্তনু ঠাকুর।