বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। সেখানকার অশান্ত পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই। এমন কি দেশের প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালি পরিদর্শন আসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে এখন সন্দেশখালির খবর পৌঁছে গিয়েছে দেশের সর্বত্র। যদিও এই নিয়ে সরকার-বিরোধীপক্ষের তরজা লেগেই রয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছে ‘শাস্তি চাই’।
সন্দেশখালি নিয়ে চিন্তিত বাংলার সুশীল সমাজ। অভিনেতা থেকে চিত্রপরিচালক, ইতিমধ্যে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর আগে নানা ইস্যুতে বাংলার বিদ্বজ্জনদের পথে নেমে মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সন্দেশখালি নিয়ে প্রথমে অনেকে নীরব থাকায় প্রশ্ন উঠেছিল। যেন মৌনতা ভেঙেছেন অনেকে।
এক সংবাদ মাধ্যমকে পরিচালক অনীক দত্ত জানিয়েছেন, ‘হাঁটা দিয়ে আর কিছু হবে না, এবার ঝাঁটা বের করা দরকার।’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মিছিলে হেঁটে লাভ নেই, সন্দেশখালির ঘটনা যে স্তরে পৌঁছেছে তাতে এবার ঝাঁটা হাতে নেওয়া দরকার বলেই মনে করছেন অনীক। শাসকদল ঘনিষ্ঠ কিছু নেতার কারণে আজ সন্দেশখালির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সেইসব খারাপ লোকজনকে চিহ্নিত করে ঝাঁটা দিয়েই যেন মারা উচিত। তেমনই ইঙ্গিত পরিচালকের।
অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ স্পষ্টতই জানিয়েছেন, ‘সন্দেশখালিতে মা বোনেরা মুখ খোলার পর যা জানা গিয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রের চাদর গায়ে চাপা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যে রাজতন্ত্র চলছিল, তা প্রকাশ্যে চলে এল। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশ অভিযোগকারীদের বলছে তাদের কাছে গিয়ে সমাধান করে নিতে। সেটা জানার পরেও এই রাজ্যের রাজারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। উলটে বলছেন– ষড়যন্ত্র হচ্ছে। চরম দুর্ভাগ্যের।’