কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পর এখন প্রযুক্তির মাত্রা আরও উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, মানুষের মস্তিষ্কে চিপিংয়ের নতুন কীর্তি সামনে এসেছে। এ নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চললেও এবার মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk) একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যার পর আবারও শিরোনামে এসেছেন মাস্ক।
ইলন মাস্ক একটি পোস্ট শেয়ার করে বলেছেন যে, নিউরোটেকনোলজি সংস্থা নিউরালিংক প্রথমবার মানুষের মস্তিষ্কে একটি চিপ স্থাপন করেছে। মাস্কের পোস্ট অনুসারে, যে ব্যক্তির মস্তিষ্কে চিপ করা হয়েছে তিনি ভালভাবে সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং প্রাথমিক ফলাফলগুলি বেশ আশাব্যঞ্জক। রিপোর্ট অনুযায়ী, মানুষের মস্তিষ্কে লাগানো চিপের আকার ৫টি কয়েনের আকারের সমান।
The first @Neuralink product is called Telepathy
— Elon Musk (@elonmusk) January 29, 2024
মাস্ক নিউরালিংকের এই প্রথম পণ্যটির নাম দিয়েছেন টেলিপ্যাথি। উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক ২০১৬ সালে এই স্টার্ট-আপ শুরু করেছিলেন, গত বছর মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর, মাস্কের স্টার্ট-আপ সংস্থা মস্তিষ্কে একটি চিপ লাগানোর জন্য অংশগ্রহণকারীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে।
এই চিপ আনার উদ্দেশ্য কী?
এই স্মার্ট টিপস আনার উদ্দেশ্য হলো যারা হাঁটতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না যারা প্রতিবন্ধী, তাদের সহায়তা করা। এই চিপের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী মানুষদের উন্নত জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে এই চিপ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে?
চিপ ইমপ্ল্যান্ট কীভাবে মস্তিষ্ককে যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করে, তা পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন ইলন মাস্ক। মাস্ক বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ইমপ্ল্যান্ট কাজে লাগতে পারে। নিউরোটেকনোলজি কোম্পানির লক্ষ্য মস্তিষ্ক এবং কম্পিউটারের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের চ্যানেল তৈরি করা।
এই প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর এখন সবার মনে প্রশ্ন হচ্ছে প্রযুক্তিকে এভাবে ব্যবহার করা ঠিক হবে কি না? প্রযুক্তি যেভাবে ভাবা হয়েছে সেভাবে কাজ না করে যদি রিভার্স অ্যাকশন মোডে কাজ শুরু করে, কখনো কি ভেবে দেখেছেন কী হবে? বিষয়গুলি আরও খারাপ হতে পারে। প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে খুব আধুনিক, তবে এতে শারীরিক ক্ষতির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য বড় বিপদও রয়েছে।