রাজ্যগুলির রাজস্ব (State Revenue) আয় বৃদ্ধির হারকে ১৭.৪ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ আদৌ হবে তো ? কারণ তেমন আশংকা দেখা দিয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে উপদেষ্টা সংস্থার সমীক্ষায়। ইক্রা রেটিংসের রিপোর্ট জানাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম আট মাসে (এপ্রিল-নভেম্বর) দেশের ১৬টি বড় রাজ্যের আয় বৃদ্ধির হয়েছে মাত্র ৫% হারে। যেখানে বাজেটে ১৭.৪ শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল ৷
অন্যদিকে গত অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে লক্ষ্যের ৩৭ শতাংশের বেশি ঋণ নিতে হয়েছে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে চলতি বছরেও ধার শোধ করতে এবং কর্মীদের বেতন-পেনশন দিতে বাজার থেকে তাদের বড় অঙ্কের ধার করতে হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে জিএসটি চালুর সময়ে রাজ্যগুলির কর বাবদ ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। ফলে তাদের আয় ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা ছিলই। তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে এই রিপোর্টে।
রাজস্ব কমার বিভিন্ন কারণকে চিহ্নিত করেছে ইক্রা।
এর মধ্যে রয়েছে তেলের চাহিদা কমায় বিক্রয় কর থেকে আদায় সরাসরি ১.৪% কমে যাওয়া, জিএসটি খাতে যতটা অর্থ ঘরে আসবে বলে মনে করা হয়েছিল তার থেকে অনেকটাই কম আসা (১২টি রাজ্যের ক্ষেত্রে ৯%-১৫%), উৎপাদন শুল্ক এবং স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন খাতে রোজগারে ভাটা ইত্যাদি রয়েছে। ফলে কর বাবদ রাজ্যগুলির নিজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি থমকেছে ১১ শতাংশে। যা ২০% হবে বলে পূর্বাভাসে ছিল। তার উপরে কেন্দ্রের অনুদান বাবদ প্রদত্ত অর্থের পরিমাণে ছাঁটাইও হয়েছে ৷
রাজ্যগুলির আয়ের মধ্যে প্রায় অর্ধেক হল নিজস্ব কর সংগ্রহ। তাছাড়া রয়েছে ২৫% কেন্দ্রের করের ভাগ, ১৭% অনুদান এবং ৮% কর বাদে অন্যান্য খাতে আয়। নিজস্ব কর সংগ্রহের মধ্যে ৪০% জিএসটি। বিক্রয় কর (মূলত তেল-মদ) ২৪%, উৎপাদন শুল্ক ১৪%, স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন খাতে ১১% করে। বাকিটা অন্যান্য খাতে।