Parliament Security: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩১ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সংসদের আসন্ন অধিবেশন চলাকালীন দর্শক এবং তাদের লাগেজ স্ক্রীন করার জন্য ১৪০ জনের একটি শিল্প নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী (CISF)-কে অনুমোদন দিয়েছে। জানা যাচ্ছে পুরনো এবং নতুন উভয় সংসদ ভবনই CISF-এর ব্যাপক নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে। এছাড়াও সংসদ নিরাপত্তা পরিষেবা, দিল্লি পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর সংসদীয় ডিউটি গ্রুপও সংসদ এলাকায় নিরাপত্তা দেবে। CISF মূলত সরকারি শিল্পকেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিযুক্ত থাকে।
মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে যে সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন, সিআইএসএফ সংসদের প্রবেশ এবং প্রস্থান গেট রক্ষা করবে। সিআইএসএফ অতিথিদের নিরাপত্তা ও তল্লাশির কাজও করবে। এর আগে, গেটের নিরাপত্তার জন্য দিল্লি পুলিশ ও সংসদের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত লোকজন মোতায়েন করা হয়েছিল। সিআইএসএফ রক্ষীরা পার্লামেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের সংসদে জঙ্গি হামলার ২২ তম বার্ষিকীতে সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল। ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩-এ, শ্রোতা গ্যালারি থেকে লোকসভার চেম্বারে দুজন ঝাঁপ দিয়ে ক্যান থেকে হলুদ রঙের ধোঁয়া স্প্রে করে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এটি জঙ্গি হামলা নয়। হামলাকারীরা ভগত সিং গ্রুপ নামে একটি সামাজিক মাধ্যম গোষ্ঠির সদস্য। তারা বেকারত্ব ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নেমেছিল। তবে তাদের এই প্রতিবাদে নতুন সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবি ভুয়ো প্রমাণ হয়েছে।