Bipin Rawat: রাওয়াতের শেষকৃত্যের প্রস্তুতির সঙ্গে চলছে উত্তরসূরি বাছাইয়ের পালা

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে (palam airport) এসে পৌঁছয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মরদেহ। শুধু রাওয়াত নয়, এসেছে তাঁর স্ত্রী…

Bipin Rawat funeral kolkata24x7

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে (palam airport) এসে পৌঁছয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মরদেহ। শুধু রাওয়াত নয়, এসেছে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুলিকা-সহ আরও ১১ জনের মরদেহ।

এদিন বিপিন রাওয়াত-সহ অন্যদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী দুজনেই পালাম বিমানবন্দর আগেই হাজির হয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দরে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাবাহিনীর তিন শাখার কর্তারা। প্রত্যেকেই রাওয়াতের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে একে একে রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অজয় ভাট, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য। শুক্রবার কামরাজ মার্গ থেকে বিপিন রাওয়াতের মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রা করবে সেনা। যা শেষ হবে ব্রার শ্মশানে। শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন। রাওয়াতের শেষকৃত্যে অংশ নিতে আসছেন শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান জেনারেল শভেন্দ্র সিলভা।

একদিকে যখন রাওয়াতের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে তখনই উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সেটা হল দেশের পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক কে হবেন? রাওয়াতের ফেলে যাওয়া চেয়ারে কে বসবেন? হঠাৎ করেই রাওয়াতের চলে যাওয়া দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা। দেশের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে বছর দুই আগে ও সেনা সর্বাধিনায়ক বলে কোনও পদ ছিল না।

২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সেনা সর্বাধিনায়ক পদটি তৈরি করে। বায়ু সেনা, নৌ সেনা ও স্থল সেনা এই তিন বাহিনীর সমন্বয়সাধনের দায়িত্ব থাকে সেনা সর্বাধিনায়কের উপর। কয়েক বছর আগে একদিকে চিন অন্যদিকে পাকিস্তান সীমান্তে নিয়মিত আগ্রাসন দেখাচ্ছিল। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে, বাহিনীর তিন শাখার মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় স্থাপনের প্রয়োজন হয়েছিল। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটি তৈরি করা হয়। যার দায়িত্ব ছিলেন বিপিন রাওয়াত।

রাওয়াতের পর কে এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কয়েকটি নাম শোনা যাচ্ছে। এই নামগুলির মধ্যে রয়েছে দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে, বায়ুসেনা প্রধান বিবেকরাম চৌধুরী ও নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক নির্বাচন করা হবে।

পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক নির্বাচনের কাজটি পর্বত প্রমাণ কঠিন। তিন বাহিনীর বর্তমান প্রধানদের মধ্যে তুলনা করলে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে কিছুটা এগিয়ে আছেন। কারণ ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর নারাভানে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। অন্যদিকে মাত্র মাস তিনেক আগে বায়ুসেনা প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন বিবেকরাম চৌধুরী।

আর নতুন নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার দায়িত্ব পেয়েছেন মাত্র ১ সপ্তাহ আগে। পাশাপাশি নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক পদে শোনা যাচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার চিফ মার্শাল আর কেএস ভাদুরিয়ার নাম। পাশাপাশি উঠে এসেছে বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল বলভদ্র রাধাকৃষ্ণের নামও। তবে বলভদ্রের নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ তাঁর বুকে এখনও পর্যন্ত তিনটি তারা রয়েছে। চারটি তারা না থাকলে এই পদ পাওয়া খুবই কঠিন।

তাই নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক হিসেবে নারাভানে ও ভাদুড়ির মধ্যে কোনও একজনের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। তবে শেষপর্যন্ত সাউথ ব্লক কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের।