রামন্দির নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বগুরু হওয়ার পথে ভারত: মোহন ভাগবত

আজ অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হল। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অযোধ্যায় পৌঁছান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতও। তিনি রাম মন্দির প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে…

RSS chief Mohan Bhagwat

আজ অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হল। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অযোধ্যায় পৌঁছান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতও। তিনি রাম মন্দির প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ উপলক্ষে তিনি বলেন, আজকের আনন্দ কেউ বর্ণনা করতে পারবে না। ভারতের সোনালী যুগ ফিরে এসেছে রামলালার সঙ্গে। আজ ছোট ছোট মন্দিরে রাম ভক্তদের মধ্যে উৎসাহের ঢেউ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মোহন ভাগবত বলেন যে আজ আমরা শুনেছি যে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের জন্য কঠোর উপবাস পালন করেছেন। তিনি রোজার কঠোর নিয়ম মেনে চলতেন। আমি তাকে অনেক দিন ধরে চিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী একজন তপস্বী। কিন্তু, তিনি একাই তপস্যা করছেন, আমরা কী করব? মোহন ভাগবত বলেন যে অযোধ্যা সেই জায়গা যেখানে কোনও বিরোধ নেই।

   

‘পৃথিবীর কলহের অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যায় ফিরে এলেন রাম’

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত বলেন যে ভগবান রামকে ১৪ বছরের নির্বাসন সহ্য করতে হয়েছিল। কিন্তু তিনি কেন বাইরে গেলেন? এর কারণ ছিল অযোধ্যায় অশান্তি। সংসারে কলহের অবসান ঘটিয়ে রাম অযোধ্যায় ফিরে আসেন। আজ ৫০০ বছর পর আবার ফিরে এসেছেন রামলালা। মোহন ভাগবত বলেন যে আমাদেরও সমস্ত বিরোধকে বিদায় জানাতে হবে। ছোটখাটো ঝগড়া-বিবাদ ঘটতেই থাকে, সেগুলো নিয়ে ঝগড়া করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

‘প্রধানমন্ত্রী মোদী তপস্যা করেছেন, এখন আমাদেরও তপস্যা করতে হবে’

মোহন ভাগবত বলেন যে ব্যক্তি রামলালার অযোধ্যায় আগমনের দিন শুনবে সে জাতির জন্য নিবেদিত হবে এবং তার সমস্ত দুঃখ দূর হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তপস্যা করেছেন, এখন আমাদেরও তপস্যা করতে হবে। রাম রাজ্য আসতে চলেছে। আমাদেরকেও বিদায় জানাতে হবে সকল মতভেদকে। রামের ত্যাগ ও তপস্যার কারণে আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। রাম নিছক কথা বলার মানুষ ছিলেন না। কাজ করতেন। তার মধ্যে কোনও অহংকার ছিল না। তিনি ছিলেন দ্বীনের পথে চলার মানুষ।

‘আমাদের একসাথে চলতে হবে’
মোহন ভাগবত বলেন, রাম সব দিক থেকেই বিরাজমান। ব্রহ্মা এখানে সত্য। এটা জেনেই আমাদের একসঙ্গে চলতে হবে। একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। সেবা ও দানশীলতার মনোভাব থাকতে হবে। সরকারের অনেক প্রকল্পই দরিদ্রদের ত্রাণ দিচ্ছে। কিন্তু যেখানে আমরা দুঃখ-বেদনা দেখি সেখানে আমাদেরও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা উচিত।