অযোধ্যায় আমন্ত্রণ পাননি দত্তপুকুরের রাম মূর্তির কারিগর

অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে খুলেছে চলেছে রাম মন্দিরের দরজা। রাম মন্দিরের জন্য দুটি ফাইবার দিয়ে তৈরি রাম দত্তপুকুর থেকে পাড়ি দিয়েছিল সুদূর অযোধ্যায়। এই…

Lord Ram statue built by the two Muslim sculptors in West Bengal

short-samachar

অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে খুলেছে চলেছে রাম মন্দিরের দরজা। রাম মন্দিরের জন্য দুটি ফাইবার দিয়ে তৈরি রাম দত্তপুকুর থেকে পাড়ি দিয়েছিল সুদূর অযোধ্যায়। এই দুই মূর্তি তৈরি করেছিলেন দত্তপুকুর বিট্টু ফাইবার গ্লাস প্রতিষ্ঠানের জামালউদ্দিন এবং তার ছেলে বিট্টু। সাত মাস আগে সেই মূর্তিগুলি পৌঁছয় অযোধ্যায়।

   

জামালউদ্দিন জানান, শিল্পী হিসেবে তার কাছে আজ অত্যন্ত খুশির দিন। তার হাতে তৈরি রামের মূর্তি পৌঁছে গিয়েছে অযোধ্যাতে। তবে রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাননি তিনি। জামালউদ্দিন বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা দাবানলের থেকেও ভয়ংকর। যে কোনও রাজনৈতিক দল সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে তা ব্যবহার করে। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকা উচিত, ধর্ম ধর্মের জায়গায় থাকা উচিত। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা একেবারেই সমীচীন নয়। সারা ভারতের মানুষের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টায় সাড়া না দেয়।’

জামালউদ্দিন বলেন, ‘আমার দোকান থেকে রামের মূর্তি নিয়ে গিয়েছে এটা একটা ভালো লাগার জায়গা। তবে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ হয়তো আমার কোনও যোগাযোগ নম্বর ওদের কাছে নেই।’ জামালউদ্দিন বলেন, ‘যা যা জানতে পারছি সংবাদ মাধ্যম মারফত। কোথায় মূর্তি বসেছে তাও জানতে পেরেছি সংবাদ মাধ্যম মারফত।’

রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে গোটা দেশে‌ সাজো সাজো রব। এদিনই বাংলায় সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু কলকাতা নয়, জেলায় জেলায় এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই সংহতি মিছিলের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।