টানা চার পাঁচ দিন ধরে মায়ানমার ও ভারতের সীমান্তে (Manipur) মণিপুরের মোরে শহরে চলেছে জঙ্গি-কমান্ডো তীব্র বন্দুকযুদ্ধ। একাধিক কমান্ডো নিহত ও জখম। সাম্প্রতিক মণিপুরে লাগাতার জঙ্গি হানা ও জাতিগত হিংসায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র দেখে গোয়েন্দা বিভাগের স্পষ্ট অবস্থান, বর্মী সশস্ত্র সংগঠনগুলো থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা।
মায়ানমার ও মণিপুরের মধ্যে কমবেশি সাড়ে তিনশ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত। সেই সীমান্তের ওপারের দেশে সামরিক শাসন চলছে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকা সেনা শাসন বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দখলে। একাধিক বিদ্রোহী বর্মী সংগঠন অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেনারা উপর লাগাতার হামলা জারি রেখেছে। ফলে ভারত লাগোয়া অঞ্চল এই সব বিদ্রোহীদের দখলে। অত্যন্ত ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ন এলাকাগুলির ভারতের অংশেও বর্মী গোষ্ঠীগুলির দাপট।
মণিপুর থেকে ছড়ানো একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারত-মায়ানমারের সীমান্তে টহল দিচ্ছে সেনা জওয়ানরা। তবে এই ভিডিও জওয়ানদের নয়। মণিপুরবাসীদের দাবি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছে জঙ্গিরা। মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ইউনিফাইড কমান্ডের চেয়ারম্যান কুলদীপ সিং ইঙ্গিত দিয়েছেন মায়ানমার থেকে জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে। তারা আরপিজিসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহার করছে।
অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীদের পোশাক পরে কয়েকদিন আগে থৌবল জেলায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের এলাকায় হামলা করেছিল জঙ্গিরা। কয়েকজনকে গুলি করে মেরে ফেলে। বিরোধী কংগ্রেসের অভিযোগ, মণিপুরে ধর্মের তাস খেলছে বিজেপি সরকার।
মণিপুরে সংখ্যালঘু মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ‘পাঙ্গাল’ বলা হয়। এরাজ্যে সংখ্যাগুরু হিন্দুরা মেইতেই গোষ্ঠীর। আর তাদের প্রবল প্রতিপক্ষ কুকি উপজাতি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। মেইতেই-কুকি সংঘর্ষের রক্তাক্ত হয়েছিল মণিপুর। এবার তাতে মিশেছে পাঙ্গালদের রক্ত। গতবছর মণিপুরের জাতিগত সংঘর্ষে দুশো অধিক মৃত। সেই রেশ ধরে চলতি বছরের শুরু থেকেই রক্তাক্ত হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যটি।