মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাব পাস মন্ত্রিসভার বৈঠকে

শুক্রবার শিমলায় হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন রাজ্যে ২১ বছর বয়সে মেয়েরা বিয়ে করতে পারবে। মন্ত্রিসভা (হিমাচল ক্যাবিনেট মিটিং) একটি…

মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাব পাস মন্ত্রিসভার বৈঠকে

শুক্রবার শিমলায় হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন রাজ্যে ২১ বছর বয়সে মেয়েরা বিয়ে করতে পারবে। মন্ত্রিসভা (হিমাচল ক্যাবিনেট মিটিং) একটি মেয়ের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাব পাস করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।

Advertisements

তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সিমলায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। এই বৈঠকে হিমাচলের নতুন চলচ্চিত্র নীতি অনুমোদন করা হয়। চলচ্চিত্র পরিষদ গঠনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন নীতির অধীনে, হিমাচলের শুটিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি এখন তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এতে লাভবান হবেন চলচ্চিত্র প্রযোজকরা। মুখ্যমন্ত্রী বিধবা একল নারী যোজনা এবং হিমাচল প্রদেশ ডিজিটাল নীতিও মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।

   

এ ছাড়া পিরিয়ডভিত্তিক অতিথি শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা এ জন্য ২৬০০ পদের অনুমোদন দিয়েছে। অন্যদিকে, হিমাচলের পাটোয়ারিদের পদ শুধুমাত্র জেলা ক্যাডার থেকে পূরণ করা হবে। এছাড়া ৬ বছর বয়সে শিশুদের স্কুলে ভর্তির নিয়ম শিথিল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। কাংড়ায় ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মিল্ক প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে।

Advertisements

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
হিমাচল মন্ত্রিসভার বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যে মেয়েদের বিয়ে নিয়ে। বৈঠকে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে যে, এখন হিমাচলের অভিভাবকরা ২১ বছর বয়স হলেই মেয়েদের বিয়ে দিতে পারবেন। তবে এখন এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে এবং তারপর সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ছাড়াও ক্যাবিনেট মন্ত্রী অনিরুদ্ধ সিং, ইয়াদবিন্দর গোমা, জগৎ সিং নেগি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি শিল্পমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চৌহান ও শিক্ষামন্ত্রী রোহিত ঠাকুর। দুজনেই ব্যক্তিগত সফরে সিমলার বাইরে ছিলেন।