মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে ইডি ও রক্ষীদের উপর ভয়াবহ হামলার. (Attack on Ed) জেরে সন্দেশখালি সন্ত্রস্ত। রক্তাক্ত রক্ষীর ছবি দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। দেশে বিভিন্ন রাজ্যেও ইডি অফিসারদের ঘেরাও ও হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে এই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অফিসার ও রক্ষীরা মার খেলেন তেমনটা হয়নি অন্যত্র। সন্দেশখালির ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল চরম বিতর্কের মুখে পড়ল। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে শুক্রবার রক্তাক্ত ইডি! তৃণমূল সমর্থকদের হাতে মার খেয়ে চলে গেলেন ইডি গোয়েন্দারা।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে ধৃত প্রাক্তন খাদ্য ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ি সন্দেশখালিতে। তদন্তের স্বার্থে তল্লাশি করতে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা পৌঁছতেই পড়তে হল আক্রমণের মুখে। তৃণমূল নেতার প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন তারা। বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে তালা ভেঙে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। আর তখনই তাদের ওপর কার্যত হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। সূত্রের খবর, এই ঘটনার কথা সদর দফতরে জানিয়ে রিপোর্ট দিতে পারে ইডি। শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতা সহ অন্তত ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি-র আধিকারিকরা।
যারা আক্রমণ করেছে তারা মূলত শেখ শাহজাহানের অনুগামী বলে জানা গেছে। রেশন দুর্নীতির তদন্তেই কেন্দ্রীয় সংস্থা এদিন পৌঁছয় সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায়। পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় শাহজাহানের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয় ইডি-কে।
দীর্ঘদিন ধরে একজন রেশন ডিলার এই শাহজাহান শেখ। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিশেষ ঘনিষ্ঠতার কথাও শোনা যায়। সেই সূত্রেই এই তল্লাশি। ওই নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালালে রেশন দুর্নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত নথি পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু সেই নেতার বাড়িতে এদিন ঢুকতেই পারলেন না তারা।
রাজ্যের একাধিক মামলায় তদন্ত করছে ইডি, তল্লাশিও চালানো হয়েছে বহু জায়গায়। তবে রাজ্যে এর আগে ইডি-কে এমন আক্রমণের শিকার হয়ে হয়নি। সশস্ত্র অবস্থায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও তোয়াক্কা করেননি গ্রামবাসীরা।আজকের পর তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হতে পারে, এই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।