এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরুটা যথেষ্ট আকর্ষণীয় ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) দলের ক্ষেত্রে। প্রথম ম্যাচে টুর্নামেন্টের নতুন ফুটবল দল পাঞ্জাব এফসিকে পরাজিত করে অভিযান শুরু করেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। তবে সময় এগোনোর সাথে সাথে ছন্দ হারাতে থাকে এই ফুটবল দল। যার প্রভাব পড়ে এএফসি কাপের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে।
বলাবাহুল্য, গতবছর এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে দল পৌঁছলে ও এবছর অধিক শক্তিশালী দল নিয়ে ও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। এবছর ছিটকে যেতে হয়েছে একেবারে প্রথম দিকে। যা নিয়ে প্রবল হতাশ ছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। পরবর্তীতে আইএসএলের ম্যাচে ওডিশা ম্যাচে আর্মান্দো সাদিকুর গোলে মান রক্ষা হলেও পরবর্তীকালে মুম্বাই সিটি এফসি থেকে শুরু করে এফসি গোয়ার মতো দলের বিপক্ষে একেবারে তথৈবচ অবস্থা দেখা দেয় মোহনবাগানের।
আজ, বুধবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে নিজেদের পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নামছে হুয়ান ফেরেন্দোর ছেলেরা। গত দুই ম্যাচের হতাশা ভুলে এবার ঘুরে দাঁড়ানোই চ্যালেঞ্জ তাদের কাছে। তবে চোট আঘাতের সমস্যা যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে দলের অন্দরে। গত ম্যাচেই চোট পেয়েছেন অজি তারকা ব্র্যান্ডন হ্যামিল। এছাড়াও চোট রয়েছে গ্লেন মার্টিনস থেকে শুরু করে ভারতীয় দলের অন্যতম দাপুটে ফুটবলার সাহাল আব্দুল সামাদ। আজকের ম্যাচে যে তাদের পাওয়া সম্ভব নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই দিমিত্রি পেট্রাতোসের পাশাপাশি হুগো বুমোসদের সামনে রেখেই নিজেদের একাদশ সাজাতে চাইবেন বাগান কোচ হুয়ান ফেরেন্দো। তবে তার এই স্ট্রেটেজি আদৌ কতটা কার্যকরী হয় এখন সেটাই দেখার।
এসবের মাঝেই নতুন মরশুমের কথা মাথায় রেখে বেশকিছু ফুটবলারদের দিকে নজর রাখছে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। যার মধ্যে এবার শোনা যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার দাপুটে ফুটবলার জর্ডি আমাতের নাম। বর্তমানে জোহর দারুলের সঙ্গে রয়েছেন এই তারকা ফুটবলার। পূর্বে রিয়াল বেতিস থেকে শুরু করে একাধিক জনপ্রিয় ফুটবল দলের জার্সিতে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। আসন্ন ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাকেই দলে টানতে চাইছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। তার উপস্থিতি বাগান ডিফেন্সকে যে আরও মজবুত করবে তা কিন্তু বলাই চলে।