নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলায় আছড়ে না পড়লেও, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বিপদ এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। তবে জাওয়াদ (Cyclone Jawad) আসার আগেই পূর্বাভাস অনুযায়ী কলকাতায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ল। বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ১৮.১ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।
জাওয়াদের প্রভাবে শুক্রবার উপকূলের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেলের পর সমুদ্রে ১০ থেকে ১২ ফুট উঁচু ঢেউ থাকবে। উপকূল এলাকায় ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। শনিবার উপকূলের জেলায় বৃষ্টি বাড়বে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, ঝড়খালি, বাসন্তী, ক্যানিং, নামখানা, গোসাবা, গদখালি, বকখালি সহ একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা, শঙ্করপুর, তালসারি, তাজপুর, মন্দারমণি সহ একাধিক এলাকায়। এরই সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া থাকতে পারে এই সব অঞ্চলে।
রবিবার সম্পূর্ণ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ব্যাপক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সমতলে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। উপকূল অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। হুগলি, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ, মালদায় মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপরে অবস্থান করছে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ। প্রাথমিকভাবে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরেকটু ঘনীভূত হবে। ৩ তারিখ নিম্নচাপ তৈরির ২৪ ঘণ্টা পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। ৪ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি উপকূলবর্তী জেলাগুলি, দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, এই জেলাগুলির দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
৫ তারিখ বৃষ্টি আরেকটু বাড়বে। উপকূলবর্তী জেলা, দুই মেদিনীপুর , দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, কলকাতা ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। ৪ তারিখ সকাল থেকে ঝোড়া হাওয়া শুরু হবে। উপকূলের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া ৪৫-৫৫ কিলোমিটার থাকতে পারে। গাস্টিং ৬৫ কিমি। বাড়বে ৬০-৭০ কিমোলিটার বেগে। গাস্টিং ৮০ কিমি। সন্ধের পর থেকে চলবে ১২ ঘণ্টার জন্য।’
পূর্ব উপকূল রেলওয়ে (East Coast Railway) অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে তিন দিনের জন্য ৯৫ টির মতো ট্রেন বাতিল করেছে। এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২-৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই জায়গা দিয়ে যাওয়া ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে।