নিয়োগ দুর্নীতিতে (Job Scam) জর্জরিত তৃণমূল সরকার। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি চেয়ে একটানা ১০০১ দিন রাস্তায় পড়ে রয়েছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তারা। যদিও তাদের অভিযোগ, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা দিলেও কিছু হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সাক্ষাতের পরও চাকরির জট খোলেনি। এবার তারা বলছেন এই বৈঠকই যেন শেষ বৈঠক হয়।
শনিবার বিক্ষোভের হাজারতম দিনে চাকরিপ্রার্থীরা মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। মহিলা বিক্ষোভকারীদের মাথা মুড়িয়ে দেওয়ার ছবিতে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে যান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাকে দেখেই চোর চোর চোর ধরো স্লোগান ওঠে। বিতর্ক ঢাকতে তড়িঘড়ি ধর্ণামঞ্চ থেকেই শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে কথা বলে সোমবারের বৈঠকসূচি স্থির করেন কুণাল ঘোষ।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে ১০ বার সাক্ষাৎকার হয়েছে, ফোন এসেছিল অভিষেকের। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। তৃণমূল ভবনে একাধিক বার দারস্থ হয়েও ফয়সলা হয়নি। এবার কি কিছু হবে? এমনই আশায় এসএলএসটির চাকরিপ্রার্থীরা।
এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বহুবার মিটিং হয়েছে। অফিশিয়ালি একটা মিটিং হয়েছে আনঅফিসিয়ালি বারবার মিটিং হয়েছে। আবার অফিশিয়াল মিটিং ডাকা হয়েছে আমরা চাইছি এটাই যেন শেষ মিটিং হয় । এখান থেকে যেন নিয়োগ হয়। বহুবার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি জট কোথাও নেই। জট আছে মনের মধ্যে, তাই মনের জটকেই কাটাতে হবে। মনের জট কাটানোর জন্য কালকে যেন শেষ মিটিংটা হয়।”
আরও এক চাকরিপ্রার্থী বলছেন, “এটা আমাদের হকের চাকরি, চাকরি আমাদের হবেই, শুধু সময়ের অপেক্ষা। আশা করছি এই মিটিংয়ে জট কেটে আমরা সবাই চাকরি নিয়ে বাড়ি ফিরব।”