News Desk: রাজনৈতিক জীবনে দাপুটে সিপিআইএমকে দেখেছেন, জ্যোতি বসুর কড়া শাসন দেখেছেন ও বুদ্ধবাবুর কবিতা শুনেছেন। আর প্রয়াত বাজপেয়ীর কিছু ‘কবিতায়েঁ’ মনে রেখেছেন। বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিতের (Meena Devi Purohit) রাজনৈতিক জীবনে এমন সব আছে তা এখনকার বঙ্গ বিজেপি নেতারা চেষ্টা করেও ছুঁতে পারবেন না।
আসলে যখন এ রাজ্যে বিজেপির শক্তিই ছিল না। তখন গুটিকয়েক বিজেপি নেতা-নেত্রীর একজন মীনাদেবী পুরোহিত। এবারেও কর্পোরেশন ভোটে বিজেপির অঘোষিত মুখ তিনিই।
পড়ুন: KMC Election: বিধানসভায় শূন্য CPIM, ছোট লালবাড়ির যুদ্ধে ‘সেনাপতি’ ফৈয়াজ আহমেদ খান
বাজপেয়ী যখন কেন্দ্রীয় রাজনীতির হালে পানি খুঁজছিলেন, ধীরে ধীরে সংসদে বিজেপির শক্তি বাড়ছিল। বন্ধুর কাছে কলকাতায় এলে প্রবল আলোচিত সাংসদ অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে দেখা হতো, মুচকি হেসে বলতেন কেয়া ‘সির্ফ দো!’
পশ্চিমবঙ্গে তখন সিপিআইএমের দাপট। বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির পাতা বরাদ্দ ছিল না। বাজপেয়ীর মজারু শব্দে ‘সির্ফ দো’ মানে দুটি কাউন্সিলর। তারই একজন মীনাদেবী পুরোহিত।
হিন্দি উচ্চারণ ঘেঁষা বাংলায় বলেন, সিপিএমের জমানা দেখেছি তো ! টিএমসির আমলও দেখছি। ফারাক আছে। সেকাল একালের ব্যবহারের ফারাক আছে। তবে চরম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কমিউনিস্টদের সমালোচনাতেও মুখর মীনাদেবী।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির পায়ের তলায় জমি দেওয়ার মালকিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামেরা এই দাবি করে বারবার। বিজেপির পক্ষেও এটি অস্বীকারের উপায় নেই। বাজপেয়ীর এনডিএ জমানায় মমতার আশীর্বাদে বিজেপি ‘সির্ফ দো’ তকমা ঝাড়তে শুরু করেছিল।
সেই স্বর্ণালী জোট আমলে বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিত ছিলেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র। আর মেয়র-বহু আলোচিত সদ্য প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মমতার ‘সুব্রত দা’। বাম জমানায় টিএমসি-বিজেপি জোট কলকাতা পুরনিগমে ২০০০-২০০৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল।
বঙ্গ রাজনীতির বিস্তর ‘উতার-চড়াও’ (উত্থান-পতন) দেখেছেন বিজেপির নেত্রী কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মীনাদেবী পুরোহিত। বাম গেছে। টিএমসি এসেছে। আবার বিজেপি হয়েছে প্রধান বিরোধী দল। বামেরা শূন্য হয়েছে।
১৯৯৫ সালে ভরা বাম জমানায় যখন বিজেপির রাজনীতিতে বিশেষভাবে আসেন মীনাদেবী, তখন থেকেই কর্পোরেশনের কাউন্সিলর। মূলত তিনি কলকাতার অবাঙালি প্রধান এলাকা বড়বাজার ভিত্তিক বিজেপির নেত্রী। কলকাতার বাইরে তেমন কোনও রাজনৈতিক ভূমিকা নেই। কর্পোরেশন রাজনীতিই জড়িয়ে গেছে মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে। বিধানসভায় ঠেক মেলেনি।
<
p style=”text-align: justify;”>কর্পোরেশনের ২৫ বছর টানা কাউন্সিলর থাকা বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিত লড়ছেন ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। বিজেপির হেভিওয়েট মুখ নিজের জয়ের ব্যাপারে প্রবল আশাবাদী। বিধানসভা ভোটের পর দলত্যাগে বিধ্বস্থ বিজেপি যদি মিরাক্যাল দেখাতে পারে তাহলে মীনাদেবীর কপালে একবার হলেও মেয়র কুর্সি জুটবে। তবে লড়াই খুব কঠিন জানেন তিনি।