চার বছর পর ঠিক লোকসভা ভোটের আগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল CAA ইস্যু। নাগরিকত্ব সংশোধনী চূড়ান্ত খসড়াটি আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আসবে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র। পশ্চিম়বঙ্গে এসে মতুয়াদের ধর্মকেন্দ্র ঘুরে তিনি এমন বার্তা দেন। অভিযোগ, ভোটের আগে ফের মতুয়াদের কাছে টানতে মরিয়া বিজেপি
উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়ি এসে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি বলেন, , “গত কয়েক বছরে CAA বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। কিছু সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। মতুয়াদের নাগরিকত্বের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”
তিনি জানান, যে সমস্ত মতুয়া ধর্মীয় মানুষের ভারতীয় পরিচয় পত্র নেই, তাঁরা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সভাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের সই করা কার্ড ব্যবহার করে বিনা বাধায় দেশের যে কোন প্রান্তে যেতে পারবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তাঁরা পাশে থাকবেন। তবে খুব শীঘ্রই সিএএ লাগু হবে।
অজয় মিশ্রের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, “বিজেপি কেবল নির্বাচনের সময় মতুয়া এবং সিএএ মনে রাখে। বিজেপি কখনই পশ্চিমবঙ্গে সিএএ প্রয়োগ করতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপির মিথ্যা দাবি মতুয়া এবং অন্যদেরকে আকৃষ্ট করবে না। আগামী বছরের নির্বাচনে সবাই এই গেরুয়া দলকে প্রত্যাখ্যান করবে।
উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ, ভারত সরকার সংসদে CAA পাস করেছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, হিন্দু, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে নির্যাতিত হয়ে ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মুসলিমদের স্পষ্টতই বাদ দেওয়া নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠেছে। এই আইন পাশ হওয়ার পর সারাদেশে বিক্ষোভ হয় এবং এই বিক্ষোভ চলাকালে সারা দেশে অনেক সাধারণ মানুষ মারা যায়।