ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব। ৪ বিরল রোগর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দেশীয় উত্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। যার ফলে ওষুধের দাম (Medicine Price) অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় ওষুধ সংস্থাগুলি চারটি বিরল রোগের ওষুধ উত্পাদন শুরু করেছে, দামী আমদানিকরা ফর্মুলেশনগুলির উপর নির্ভরতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে ফলে ওষুধের দাম অনেকটাই কমবে। টাইরোসিনেমিয়া টাইপ-১, গাউচার’স ডিজিজ, উইলসন ডিজিজ এবং ড্রাভেট-লেনক্স গ্যাসটাউট সিনড্রোম সহ সিকেল সেল অ্যানিমিয়া এই চারটি রোগের ওষুধ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং দেশীয়ভাবে তৈরি করা হচ্ছে।এছাড়াও সিকেল সেল অ্যানিমিয়া সহ ১৩ টি বিরল রোগ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ফেনিলকেটোনুরিয়ার জন্য ট্যাবলেট স্যাপ্রোপটেরিন, ট্যাব সোডিয়াম ফেনিল বুটাইরেট এবং ট্যাবলেট হাইপারঅ্যামোনিমিয়ার জন্য কার্গ্লুমিক অ্যাসিড এবং গাউচার রোগের জন্য ক্যাপসুল মিগলুস্ট্যাট অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং সম্ভবত এপ্রিল ২০২৪ এর মধ্যে পাওয়া যাবে, সরকারী সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে যে দেশীয়ভাবে এই ওষুধগুলি তৈরি করলে টাইরোসিনিমিয়া টাইপ ১-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত নিটিসিনোন ক্যাপসুলের বার্ষিক খরচ আমদানি করা ওষুধের দামের একশো ভাগের এক ভাগে নেমে আসবে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, টাইরোসেমিয়া টাইপ ১-এর চিকিৎসার জন্য বার্ষিক খরচ ছিল ২.২ কোটি থেকে ৬.৫ কোটি টাকা, কিন্তু এখন সেই একই খরচ নেমে এসেছে ২.৫ লক্ষ টাকায়। এটি একটি রোগ যা শিশুদের মধ্যে ঘটে এবং যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে শিশুটি প্রায় ১০ বছর বয়সের মধ্যেই মারা যেতে পারে। গাউচারের চিকিৎসায় বছরে ১.৮ থেকে ৩.৬ কোটি টাকা খরচ হত, কিন্তু এখন এই খরচ নেমে এসেছে ৩.৬ লক্ষ টাকায়।
এরকম একটি বিরল রোগ হল উইলসন ডিজিজ, যাতে আক্রান্ত হলে লিভারে কপার জমে থাকে এবং এর ফলে মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। ট্রিনটিন ক্যাপসুল দিয়ে এর চিকিৎসায় প্রতি বছর ২.২ কোটি টাকা খরচ হত, যা এখন ২.২ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। যেখানে আগে ড্রাভেট বা লেনক্সের চিকিৎসায় বছরে ৭ থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ হত, কিন্তু এখন এর চিকিৎসার খরচ কমে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা।