বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা বাতিল করতে হবে। এই আহ্বান রেখে একতরফা নির্বাচন ঘোষণা বাতিলের দাবিতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ গোষ্ঠীর বিশাল বিশাল মিছিল ঘিরছে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সদর কার্যালয়। এই আন্দোলনকে সমর্থন করছ জামাত ইসলামি। আর মূল বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ বিএনপি বরাবর নিরপেক্ষ তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের দাবি নির্বাচন কোনও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না। গত কয়েকমাস ধরে দুপক্ষের রাজনৈতিক সংঘর্ষ-জমায়েত চলেছে। বুধবার নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন জানানোর আগে পরিস্থিতি আরও গরম।
ভোট একতরফা ঘোষণা বাতিলের দাবিতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ দলটির মিছিল থেকে প্র়ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে হায় হায় ধ্বনি দেওয়া হয়। অভিযোগ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধংস করেছে।
ইসলামি আন্দোলন দলকে ঠেকাতে নামল পুলিশের বিশেষ ব়্যাব (RAB) বাহিনী। ঢাকার রাস্তায় টহল দিতে শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রক্ষীরা। যে কোনওসময় সংঘর্ষ ছড়াতে পারে। এরই মাঝে খবর, সন্ধ্যায় নির্বাচন তফিসল ঘোষণা করা হবে।
বিবিসি জানাচ্ছে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির আশঙ্কা নিয়েই বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে। মূখ্য নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এই ঘোষনা করবেন। ঘোষণার সাথে সাথে লাগু হবে নির্বাচনী আচরণবিধি।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন৷ সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়ী হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা পায় জাতীয় পার্টি। বিএনপি ভোট বয়কট করে।