Israel Hamas War: ভুলেও গাজায় ঢুকবে না, সোনার বৈঠকখানায় ব্লিঙ্কেনকে বোঝালেন কাতারি আমির

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: চরম উদ্বেগ চারদিকে। রাজপথে ফিলিস্তিনি সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল চলছে। এ শুধু কাতারের ছবি নয়, পুরো আরব বিশ্ব, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতেও একই…

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: চরম উদ্বেগ চারদিকে। রাজপথে ফিলিস্তিনি সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল চলছে। এ শুধু কাতারের ছবি নয়, পুরো আরব বিশ্ব, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। সর্বত্র আমেরিকা ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জনপ্লাবন উঠছে। গত কয়েকটি প্রতিবেদনে যা ইঙ্গিত করছিলাম সেটাই হলো। প্যালেস্টাইনের গাজা ভূখণ্ডের লাখ লাখ ফিলিস্তিনির সমর্থনে চলছে জমায়েত। এমনই উদ্বেগ যে কোনও সময় ভয়াবহ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিপর্যয় ঘটিয়ে দেবে। এমনই পরিস্থিতিতে কাতার সফরে এলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। গাজা ঘিরে যে সংকট (Israel Hamas War) চলছে তার সমাধানসূত্র খুঁজতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সাথে বৈঠক করলেন ব্লিঙ্কেন।

দোহার লুসাইল প্যালেসের বিপুল বৈভবের ছটার কাছে ওয়াশিংটনের বিখ্যাত হোয়াইট হাউস ম্লান। এই প্রাসাদের শীতল কক্ষে আরব দুনিয়ার গরম কূটনীতির পরিনতি কী হতে পারে তা ব্লিঙ্কেনকে জানিয়ে দিয়েছেন আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। দোহার এই বৈঠকের নির্যাস, গাজায় নিরাপদ করিডর খোলার লক্ষ্যে প্রচেষ্টার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়। সংঘাত যাতে না ছড়ায় তার জন্য মার্কিন বিদেশ সচিবকে সতর্ক করে দেন কাতারের আমির।

   

ইসলামি দেশ তাই কাতারে শুক্রবার ছুটির দিন। তার সাথে চলছে ফিলিস্তিনি আবেগের বিক্ষোভ। অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তায় মার্কিন বিদেশ সচিবকে নিয়ে কাতারের কমান্ডো বাহিনীর কনভয় চোখের সামনে দিয়ে লুসাইল প্যালেসের দিকে চলে গেল। গাজা ঘিরে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে ইজরায়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলার পক্ষে। গত শনিবার গাজা থেকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাস প্রবল হামলা চালিয়ে ইজরায়েলকে রক্তাক্ত করেছে। এর প্রত্যাঘাত শুরু করেছে ইজরায়েল। তাদের পাশে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ব্লিঙ্কেনের কাতার সফর নির্বিঘ্নে করতে আমির সতর্ক ছিলেন।

লুসাইল প্রাসাদে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্লিঙ্কেনের সাথে বৈঠক করেন আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৈঠকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উন্নয়ন এবং সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে গাজায় নিরাপদ করিডর খোলার প্রচেষ্টায় জোর দেন আমির। সংঘাত আঞ্চলিকভাবে প্রসারিত না হয় তা নিশ্চিত করেন। জানা যাচ্ছে, ব্লিঙ্কেনকে আরব দুনিয়ার ফিলিস্তিনি আবেগ পরিস্থিতি উপলব্ধি করাতে পেরেছেন কাতারের আমির।

ব্লিঙ্কেনের দোহা আগমন ও কাতারের আমিরের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর গাজা ভূখণ্ডে সেনা অভিযান কি অব্যাহত রাখবে ইজরায়েল? কাতারি আমিরের সতর্কতা না মানলে মানবিক বিপর্য়যের আরও বড় অধ্যায় তৈরি হতে চলল।