বাংলাদেশের (Bangladesh) বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু দিয়ে এবার সরকারিভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেল। মঙ্গলবার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের অন্যতম এই নদী সেতুটির প্রযুক্তি কৌশল যেমন চমকপ্রদ তেমনই এর বাণিজ্যিক প্রভাব। পদ্মা সেতুর উপর দিয়েই রেলপথে দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল,ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশ থেকে পণ্য পরিবহনে বিপুল সাশ্রয় হবে। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহণেও পদ্মা সেতুর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
পদ্মা সেতু দিয়ে সড়ক পরিবহণের পাশাপাশি এবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেল। বাংদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী নতুন রেলপথটি ব্যবহার করে উত্তরাঞ্চলে যেতে পারবেন। এছাড়াও একেবারে দক্ষিণ এশিয়ার সাথে পূর্ব এশিয়ার রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পদ্মা সেতু। আবার ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি বিশেষত মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত যাতায়াত ও পণ্য পরিবহণ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ রেল মন্ত্রক জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু সংলগ্ন মাওয়া রেলস্টেশন থেকে নতুন রেলপথের উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের পর মাওয়া স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন। এই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যাত্রী হবেন। পথে। চিন থেকে আমদানি করা ১৪টি কোচ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ট্রেনটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪৩ জেলায় রেলপথ রয়েছে। ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হল। এই রেলপথ খুলনা বিভাদের যশোর পর্যন্ত সম্প্রসারণ হবে। রেলপথ যাবে বঙ্গোপসাগরের উপকূল এলাকা বরিশাল পর্যন্ত।