পুরোনো সমস্ত ব্যর্থতা ভুলে নয়া সিজনে নতুন করে নিজেদের মেলে ধরাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দলের। তাই গতবারের ব্রিটিশ কোচকে বিদায় জানিয়ে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। তারপর থেকেই একেবারে নতুন করে সেজে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল দল।
গতবারের বেশকিছু তারকা ফুটবলারদের রেখে দিয়ে একের পর এক নয়া দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের চূড়ান্ত করতে থাকে কলকাতার এই প্রধান। যার মধ্যে থাকে শক্তিশালী হায়দরাবাদ ও ওডিশা দলের একাধিক ফুটবলার। বলাবাহুল্য, এবারের এই ফুটবলারদের সামনে রেখেই ডুরান্ড অভিযানে নেমেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনার বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল। সেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব তথা মোহনবাগানকে পরাজিত করে লাল-হলুদ শিবির। তারপর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে দল। সেখানে তাদের মুখোমুখি হতে হয় আইলিগের শক্তিশালী দল গোকুলাম কেরালা এফসির বিপক্ষে। সেখানেও আসে সহজ জয়।
তারপর ডুরান্ড সেমিফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে ও সহজ জয় তুলে নেয় কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বহু লড়াই করেও আইএসএল ফাইনালে সেই মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলের কাছেই পরাজিত হতে হয় তাদেরকে। যা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা হতাশা থাকলেও এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ শিবির।
আগামী ২৫ তারিখ জামশেদপুর এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমে আইএসএল অভিযান শুরু করতে চলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ব্রিগেড। সেইমতো অনুশীলন চালাচ্ছে গোটা দল। তবে জর্ডন এলসের না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখছে স্প্যানিশ কোচকে। এসবের মাঝেই দলের ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন ক্লাব শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, “মাথায় রাখতে হবে যে ইস্টবেঙ্গল দলের জার্সি পড়ে খেলতে নামছো তোমরা। এই ক্লাব ও দল সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।
ক্লাবের সম্মান রক্ষা করার জন্য যে পারফরম্যান্স করা দরকার তার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সেইসাথে সকলকে সতর্কবার্তা দেই যে দলের পরাজয় যথেষ্ট লজ্জার ও জয় যথেষ্ট সম্মানের। এই ক্লাবের জার্সি পড়ে যারা এতদিন খেলে এসেছেন সকলেই মূলত সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন।”