রাজ্যপালের কথা শুনলে আর্থিক অবরোধ করবেন বলে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ” আপনি যদি কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতে ইন্টারফেয়ার করেন তাহলে আমি কিন্তু আর্থিক বাধা সৃষ্টি করব। এখানে টিট ফর ট্যাট। নো কমপ্রোমাইজ। দেখি আপনি কোন কলেজের শিক্ষকদের মাইনে দেন”। উপাচার্যদের রাজ্য সরকারি কর্মচারির মতো মাইনে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়ে সেরকমই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের? উঠছে এই প্রশ্ন।
নবান্নের বৈঠকে সিদ্ধান্ত ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বেতন হবে রাজ্যের কোষাগার থেকে। সরকারি কর্মীদের নিয়মেই বেতন দেওয়া হবে নবান্নে ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক হয়। নবান্ন সূত্রে খবর বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যে ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে অধ্যাপক বা শিক্ষাকর্মী প্রত্যেকেরই বেতন রাজ্যের কোষাগার থেকে সরাসরি দেওয়া হবে।
এই বৈঠক যখন ডাকা হয়েছিল তখন একাধিক অধ্যাপকের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল যে, রাজ্যের এই যে পরিকল্পনা তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধীকারের উপর হস্তক্ষেপ করা নয় তো? এতদিন যে আধিকারিক দায়িত্বে থাকতেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন আধিকারিক হতেন রেজিস্টার ফিন্যান্স অফিসার। প্রয়োজন পড়লে উপাচার্য সেই আধিকারিক হতেন। তবে এবার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে উচ্চশিক্ষা দফতরের কোনও আধিকারিক দায়িত্বে থাকবে না। সেক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিকরা বেতনের দায়িত্ব নেবে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে রাজ্য সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে।