ফের চাকরির দাবিতে পথে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। সাত বছর ধরে বন্ধ নিয়োগ প্রক্রিয়া। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মিলছে না চাকরি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ চাকরিপ্রার্থীদের। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ আন্দোলন রাস্তায় বসে রয়েছেন। যে সকল চাকরিপ্রার্থীরা সরকারি পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পায়নি তারাও বসে রয়েছেন ধর্নায়। এবার চাকরিপ রাসমাজ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রাস্তায় নেমেছেন। তারা জানিয়েছেন নতুন এসএলএসটি, এসএসসি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি চাই।
অর্থাৎ বিএড পাশ করে বসে থাকার পরেও মিলছে না চাকরি। কারণ ২০১৬ সালের পর থেকে বিগত সাত বছর ধরে পরীক্ষার কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে না। যার ফলে চরম দুর্ভোগে ছাত্র-ছাত্রীরা। পাশ করা সত্ত্বেও নেই হকের চাকরি।
মিছিল থেকে এক আবেদনকারী জানিয়েছেন, ” আমাদের মূলত একটাই দাবি। আমরা যেন প্রতিবছর এসএলএসটি ও এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারি। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে শেষ শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে। তারপরে সাত বছর কোনও পরীক্ষাই হয়নি। বর্তমানে শিক্ষিত বেকার বিএড পাশ প্রায় ১০ লক্ষ প্রার্থী বসে রয়েছে। সেই দাবিতে আমরা ধর্মতলার ১১০-১৫ দিন ধর্না মঞ্চ চালিয়েছি। তবুও কোনও সদর্থক উত্তর পাইনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা মিছিলে নেমেছি”।
গোটা বাংলা জুড়ে বিএড পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী বসে রয়েছে। এবং তারা চাকরি পাচ্ছেন না। ২০১১ সালের পর থেকে যে সকল চাকরি প্রার্থীর নিয়োগ হয়েছে সেখানে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি নজরে এসেছে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না দিয়ে টাকার বদলে অযোগ্যদের দেওয়া হয়েছিল চাকরি।
এই ঘটনার সামনে আসার পর থেকে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত মেলেনি যোগ্যদের চাকরি। তাই এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে পথে নেমেছে বহু যোগ্য শিক্ষিত বিএড পাশ ছেলেমেয়েরা।