ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচে চরম হতাশ করেছিলেন আর্মান্ডো সাদিকু ( Armando Sadiku)। এরপর মাঝে দিন দশেকের পার্থক্য। দলটা বদলে গিয়েছে অনেকটা। কলকাতা ডার্বিতে ছন্নছাড়া মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট পরাস্ত করেছে বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনীকে। ম্যাচের অন্যতম নায়ক আর্মান্ডো সাদিকু।
Durand Cup-এর সেই ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল জিতবে এমনটা হয়তো অতি বড় লাল হলুদ ভক্তও ভাবতে পারেননি। খাতায় কলমে ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেক গুণে শক্তিশালী মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট। জেসন কামিন্সকে নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে, বিশেষ করে পরপর দুই ম্যাচে গোল করার পর। ভুললে চলবে না যে জেসনের মতো সাদিকুর ফুটবল প্রোফাইল কিন্তু চোখ ধাঁধানো। ইউরো খেলা ফুটবলার এই সাদিকু। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখে যার নাম অনেকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন খরচের খাতায়।
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সেদিনের ম্যাচে একেবারেই প্রস্তুত ছিল না মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট। তারকারা মাঠে থাকলেও তাদের মধ্যে ছিল না কোনো বোঝাপড়া। তার ওপর মাথায় ছিল AFC ম্যাচ। সব মিলিয়ে ডার্বির উত্তাপ হয়তো কিছুটা এড়িয়ে চলেছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন আর্মান্ডো সাদিকু।
ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে পুরো সময়ের জন্য মাঠে রইলেন তিনি। নিজে গোল করলেন, গোল করালেন। ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার হয়তো দলের অনেকের থেকে শ্লথ। কিন্তু খেলার ভিশন এবং টাচ দেখার মতো। মাঠে কোন সময়, কোন জায়গায় থাকতে হবে সেটা জানেন এই ফরোয়ার্ড। ময়দানে প্রচলিত কথাতেই রয়েছে, চাপের মুখে যার মাথা ঠাণ্ডা রেখে সেই তো বড় প্লেয়ার। গোলের সামনে মাথা ঠাণ্ডা রেখেছিলেন আর্মান্ডো সাদিকু।