ছাত্র মৃত্যুর জেরে তুলকালাম (Jadavpur University) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। TMCP, SFI, AISA ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে। আন্দোলন করতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার। তবে জ্ঞান ফিরতেই তিনি রেগে গিয়ে বলেন, “এই বাম অতিবামদের চিনে নিন। বর্জন করুন ওদের। ওরা খুনি। ওরা আমার এক ভাইকে খুন করেছে। সেটা ঢাকা দেওয়ার জন্য ওরা তৎপর। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিতে এলে আমাদের অত্যাচার করেছে। আমাদের খুন করার চেষ্টা করেছে। আমাদের মেরেছে। ওরা প্রোগ্রেসিভ বলে নিজেদের! এটা ওদের প্রগতিশীলতা? একজন মহিলার সঙ্গে ওরা কী করেছে দেখুন। আমার জামা ছিঁড়ে দিয়েছে।”
নবাগত ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুর জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সরগরম। অভিযোগ, তাকে ব়্যাগিং করা হয়েছিল। তার মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে একাধিক মুক্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের শাখা TMCP, অতিবাম AISA এবং বামপন্থী SFI এই তিনপক্ষ পরস্পর সংঘর্ষে জড়ায়। আন্দোলন করতে গিয়ে সদ্য তৃণমূলের ছাত্র শাখার নেত্রী হিসেবে উঠে আসা রাজন্যা হালদার অজ্ঞান হয়ে যান।
যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য দলবল নিয়ে সোজা ঢুকে গিয়েছিলেন যাদবপুর ক্যাম্পাসে, তখন বাম-অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীদের জিবি চলছে। এর পরেই সংঘর্ষ ছড়ায়। অরবিন্দ ভবনের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রছাত্রীরা আসতেই তাদের দেখা স্লোগান দিতে শুরু করে বাম ছাত্রছাত্রীরা। উল্টোদিকে পাল্টা স্লোগান তোলে টিএমসিপিও। মুহূর্তেই দুপক্ষের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ক্যাম্পাস। আহতও হন বেশ কয়েকজন।
জানা গেছে, সংঘর্ষের শুরুতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অসুস্থ হয়ে পড়েন বামদের বেশ কিছু কর্মীও। সংঘর্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজন্যাও। হারিয়ে ফেলেন জ্ঞান। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসে অ্যাম্বুলেন্স। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, তৃণমূলের মিছিলেই তৃণাঙ্কুরের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। তার উপরেও হামলার অভিযোগ উঠেছে বাম ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে। তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।