এবার জেলেই যেতে হল ইমরান খানকে।সরকারি কোষাগারের দুর্নীতি মামলা (তোষাখানা মামলা) ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেট অধিনায়ক ও পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এর আগে যতবার গ্রেফতার করতে গেছিল পুলিশ ততবারই রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হয়েছিল। এদিন তাঁকে আদালত থেকে সরাসরি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তোষাখানা মামলায় জেলে যাওয়ায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আর লড়তে পারবেন না। পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, রায় পুনর্বিবেচনার জন্য দ্রুত উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন ইমরান খান। এর আগে তার গ্রেফতারি ইস্যুতে প্রবল গরম হয়েছিল। ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। ইমরান খানের সমর্থকরা ফের বিক্ষোভে নামবেন বলে জানিয়েছেন।
Radio Pakistan জানাচ্ছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শনিবার তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তিনি তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। ইমরান খানের বিরুদ্ধে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার পদের অপব্যবহার করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন। এই সময়কালে তিনি পাকিস্তানে আসা অতিথিদের কাছ থেকে এবং ৬৩৫০০০ ডলারের বেশি মূল্যে সরকারি বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় হোস্টদের কাছ থেকে প্রাপ্ত উপহার কেনা-বেচা করেছিলেন। নিয়মানুসারে এই উপহার তিনি সরকারি কোষাগারে জমা করেননি।
দ্রুত পাকিস্তানে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের দিন। ভেঙে দেওয়া হবে বর্তমান সংসদ। এমনই জানিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ফলে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচনে ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ বিরোধী আসনে থেকে লড়বে। দলনেতা ইমরান খানকে ভোট থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র বলে তেহরিক ই ইনসাফের দাবি।
ইমরান খান বারবার দাবি করেছেন বিদেশী শক্তি দেশে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি ফের ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও জানান। দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন ইমরান খান। ফের পাকিস্তান গরম হতে চলল।