Nusrat Jahan: কোটি কোটি টাকার ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগে মুখে কুলুপ নুশরতের, তৃণমূল নীরব

ব্যাঙ্ককর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে। নুসরতের বিরদ্ধে তদন্তে নেমে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েও নেওয়া হয়নি কোনও…

Nusrat Jahan: কোটি কোটি টাকার ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগে মুখে কুলুপ নুশরতের, তৃণমূল নীরব

ব্যাঙ্ককর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে। নুসরতের বিরদ্ধে তদন্তে নেমে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা। প্রতারিতদের অভিযোগ, তারা প্রথমেই গড়িয়াহাট থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পরে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। জানা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) গড়িয়াহাট থানাকে দিয়ে আর্থিক প্রতারণার মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধান করিয়েছিলেন। অভিযোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় গড়িয়াহাট থানা। অনুসন্ধান রিপোর্ট গত ৩০ জানুয়ারি আদালতে জমা পড়ে। প্রতারিতরা সোমবারই নুসরতের বিরুদ্ধে ইডি-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’র ডিরেক্টর ছিলেন রাকেশ সিং, নুসরাত জাহান, রূপলেখা মিত্র-সহ মোট ৮ জন। অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে চলতি বছরের গত ৩০ জানুয়ারি ৬ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলিপুর আদালত অভিযুক্ত সংস্থার আট জনকে ২৩ শে ফেব্রুয়ারির দিন হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

৫ এপ্রিল নুসরাত আদালতে নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন জানান, সশরীরে তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ তিনি বছরের বেশি সময় দিল্লি থাকেন। আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারক স্পষ্ট নির্দেশ দেন পরবর্তী শুনানি র দিন ২৭ এপ্রিল তাকে সশরীরে হাজির হতে হবে। তারপরেও হাজির হননি নুসরাত। তবে এই মামলায় আদালতের নির্দেশে রাকেশ সিং-কে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Advertisements

অভিযোগের সত্যতা থাকলেও তারপরও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? কীভাবে আদালতের সমন এড়ালেন নুসরত। প্রশ্ন উঠছে, কেন প্রতারিতরা দ্বারস্থ হওয়া মাত্রই অভিযোগ গ্রহণ করল না গড়িয়াহাট থানা? কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদেরই একাংশের ইঙ্গিত, সেখানে নুসরত জাহানের নাম থাকাতেই প্রথমটায় অভিযোগ নিতে ইতঃস্তত বোধ করেছিল থানা। পরে আদালতের নির্দেশ এফআইআর নেওয়া হয়।

তবে এসবের পরেও নুসরতের বিরুদ্ধের এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি এসব ব্যাপার বিশ্বাসও করি না। আমি মনে করি না নুসরত এই ধরনের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমি টিভিতে দেখেছি ব্যাপারটা। নুসরতের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। নুসরত আমাকে বলেছে, আমি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি।”
নুসরাত এই ঘটনায় মুখ খুলতে নারাজ।