Love Birds Thriving: লাভ বার্ড পরিবারে সংখ্যা বৃদ্ধিতে খুশি পরিবেশ বিজ্ঞানীরা

Love Birds Thriving: ক্রেস্টেড আইবিস নামটি বহু মানুষের কাছে আজও অপরিচিত। ক্রেস্টেড আইবিসকে বহু মানুষ লাভবার্ড বলে। এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস।

Love Birds

Love Birds Thriving: ক্রেস্টেড আইবিস নামটি বহু মানুষের কাছে আজও অপরিচিত। ক্রেস্টেড আইবিসকে বহু মানুষ লাভবার্ড বলে। এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। এশিয়ার দেশগুলিতে, ক্রেস্টেড আইবিসকে “শুভ পাখি” এবং “প্রাচ্যের রত্ন” হিসাবে গণ্য করা হয়।

জাপানে, ক্রেস্টেড আইবিসকে মানুষ খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে, জাপান সরকার ১৯৮১ সালে ঘোষণা করেন যে, জাপানে বন্য ক্রেস্টেড আইবিস বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। সৌভাগ্যের বিষয় হল, চিনের শায়ানসিতে ছিনলিং পর্বতমালার গভীরে, বেশ কিছু মানুষ ক্রেস্টেড আইবিসকে দেখতে পেয়েছেন।

   

কয়েক দশক ধরে যত্ন ও সুরক্ষার পরে, চাইনিজ ক্রেস্টেড আইবিস সংখ্যায় ৫ থেকে ৭ হাজারের বেশি বেড়েছে। এই পাখির শব্দ শুনেও আনন্দ অনুভব করে স্থানীয়রা। ক্রেস্টেড আইবিসকে মানুষ লাভবার্ড বলে। তারা একগামী সম্পর্ক বজায় রাখে। ক্রেস্টেড আইবিসরা ২০ দিনের মধ্যে বড় হয়। তখন তাদের খাবারের চাহিদাও বেড়ে যায়। বাবা ক্রেস্টেড আইবিস এবং মা ক্রেস্টেড আইবিস পালা করে খাবার খুঁজতে বের হয়।

স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “আমার আর ক্রেস্টেড আইবিসেসের সম্পর্কটা শিক্ষক ও বন্ধুর মত। কারণ ক্রেস্টেড আইবিসেস থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। কিভাবে পরিবারের সঙ্গে থাকা যায়, কিভাবে আমার সন্তানদের শেখানো যায়। কিভাবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বজায় রাখতে পারি। এই কারণে আমরা পাখিগুলোকে ছেড়ে থাকতে পারিনা।

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৮-এ, জাপানের সাদো দ্বীপে দশটি ক্রেস্টেড আইবিস মুক্ত করা হয়েছিল। জাপানের পরিবেশ মন্ত্রক ভবিষ্যতে বন্য পাখিদের ছেড়ে দেওয়া চালিয়ে যাওয়ার দিকে লক্ষ্য রেখেছে। এর সঙ্গেই তারা চাষের খেতে কীটনাশক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কারণ এই কীটনাশক খেয়ে বহু ক্ষেত্রে পাখিগুলি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।