হিমাচল প্রদেশের কুল্লু-মানালিতে ভারী বর্ষণে বন্যা (Himachal Pradesh Floods) হয়েছে৷ যার জেরে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। কুল্লু-মানালিতে দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৭০,০০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন,বন্যা পরিস্থিতির কারণে যে রাস্তাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি আবার খুলে দেওয়া হবে। হিমাচল প্রদেশের সোলান, সিরমাউর, কাংড়া এবং কুল্লু-মানালির মতো এলাকায় ১৭ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ডিজিপি সঞ্জয় কুন্ডু জানিয়েছেন, কুল্লু থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২৯টি দেশের ৬৮৭ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে কুল্লু থেকে ১৮টি এবং শ্রীখণ্ড মহাদেব থেকে ৮টি মৃতদেহ সহ মোট ২৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে। বন্যায় কাউকে আটকে রাখা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
বন্ধ রাস্তা শীঘ্রই খুলে দিতে হবে: অনুরাগ ঠাকুর
রাজ্যের বিলাসপুরে ‘জেলা উন্নয়ন সমন্বয় ও মনিটরিং কমিটির’ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, আমরা সবাই বিশ্বাস করি, এই বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হবে। বন্যায় যেসব সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামত করতে হবে এবং যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো দ্রুত খুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকার ও জনসাধারণকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।
বৃষ্টি নিয়ে সতর্ক প্রশাসন
আইএমডি-শিমলা জানিয়েছে যে ১৭ জুলাই পর্যন্ত চাম্বা, কাংড়া, সিরমাউর, সিমলা এবং কুল্লু জেলায় বন্যার সামান্য আশঙ্কা রয়েছে। হিমাচল প্রদেশের রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সোলান, সিরমাউর, কাংড়া এবং কুল্লু-মানালির মতো এলাকায় ১৭ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির জন্য সতর্কতা জারি করেছিল। এ সময় এসব এলাকায় বৃষ্টি হলেও আগে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে, এবার তা দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: Delhi Floods: বিদেশ থেকে ফিরে দিল্লির বন্যা নিয়ে এলজির সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই প্রবল বর্ষণের পর রাজ্যের নদী-নালা বন্যায় রূপ নেয়। এর জেরে হিমাচলে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে। বন্যায় দোকানপাট, বাড়িঘর থেকে শুরু করে হোটেল সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে বৃষ্টির কারণে সেরকম বিপর্যয় দেখা না গেলেও প্রশাসন সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।