ভাঙড়ে যেতে মরিয়া নওশাদ, বাড়ছে উত্তেজনা

শুক্রবারের পর ফের রবিবার ভাঙড়ে গেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তাকে ফের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। আগে থেকেই পুলিশ, কেন্দ্রীয়বাহিনী এলাকাটি ঘিরে রেখেছিল। পুলিশ তাকে…

Siddiqui

শুক্রবারের পর ফের রবিবার ভাঙড়ে গেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তাকে ফের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। আগে থেকেই পুলিশ, কেন্দ্রীয়বাহিনী এলাকাটি ঘিরে রেখেছিল। পুলিশ তাকে জানায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে, কোনওভাবে তাকে যেতে দেওয়া যাবে না। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার বিধায়ককে বোঝাতে থাকেন এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে তাই তাঁকে সেখানে যেতে দেওয়ার অধিকার সেই অফিসারের নেই।

Advertisements

নওশাদ বলেন, “আমি আপনার সমস্তটা অর্ডারটাই পড়েছি। এই অর্ডারের যে পয়েন্ট নিয়ে আপনি আমাকে যেতে দিচ্ছেন না, সেই পয়েন্ট এক্ষেত্রে খাটে না। আগে এটা বলুন এই এলাকা কি সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে পড়ে?”

   

এরপর নওশাদ দাবি করেন, “তিনি যদি কোনও বেআইনি কাজ করে থাকেন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু যে কোনও জায়গায় তার স্বাধীনভাবে বিচরণ করার অধিকার সরকার এইভাবে আটকাতে পারে না। এটা অনৈতিক ও অসাংবিধানিক।”

নওশাদ বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জানি আমি। ভাঙড়ে আমি কোনও জমায়েত করতে যাচ্ছি না। আমার সঙ্গে মাত্র এক জন আছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, গত শনিবারই ভাঙড়ে সভা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। ১৪৪ ধারা জারি থাকলে সেটা কী ভাবে সম্ভব? নওশাদের বক্তব্য, ‘‘যা হচ্ছে তা অগণতান্ত্রিক। আমি পুলিশের কাছে জানতে চাইছি, ১৪৪ ধারা জারির মানে কী?’’

Advertisements

এরপরে, নওশাদ ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ তিনি বলেম, ‘‘আমাকে এরেস্ট করুন, না হয় যেতে দিন৷’’ এরপরেই নওশাদকে আটক করে পুলিশ৷ দু’হাত তুলে রাস্তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নওশাদকে৷

তিনি বলেন, “ভাঙড়ে তার দফতরে প্রচুর কাজ পড়ে রয়েছে। সেখানে এক কর্মী যিনি নিরুদ্দেশ রয়েছেন তার বাড়িতেও যাওয়ার দরকার। বিধায়ক হিসাবে কিছু উন্নয়নমূলক কাজও তার সইয়ের অপেক্ষায় আটকে আছে। সেগুলো করতেই তিনি ভাঙড়ে যেতে চান।” সুকৌশলে তৃণমূল তার গতিবিধি রুখতে চাইছে বলে দাবি করেন আইএসএফ বিধায়ক।