বন্যায় ডুবছে রাজধানী। দিল্লির কাছে যমুনা আজ সর্বকালের সর্বোচ্চ ২০৮.৪৬ মিটারে উঠেছে। পরিস্থিতি দেখে নিচু এলাকাগুলির জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দিল্লি প্রশাসন৷ কেন্দ্রীয় জল কমিশন “চরম পরিস্থিতি” বলে অভিহিত করেছে। কারণ যমুনায় জলের প্রবাহ আজ সকালের দিকে শীর্ষে উঠবে বলে আশঙ্কা। বর্তমান জলস্তর বিপদ চিহ্নের তিন মিটার উপরে।
সকালে যমুনার জল বাড়ছে এর কারণ, হরিয়ানার হাথনিকুন্ড ব্যারেজ নদীতে জল ছেড়ে চলেছে।১৯৭৮ সালে যমুনার সর্বোচ্চ জলস্তর ছিল, যা ২০৭.৪৯-এর কাছাকাছি ছিল।উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণের কারণে বেশিরভাগ এলাকায় বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। একই সঙ্গে দিল্লিতে যমুনা নদীর জলস্তর বিপদ চিহ্নের ওপর দিয়ে চলেছে। যমুনার জলস্তর ৪৫ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে গেছে।
লাল কেল্লার কাছে পুরনো লোহার সেতু থেকে রেল ও যানবাহন চলাচল বন্ধ। যমুনার জল সম্পূর্ণ নিচু এলাকা দখল করে নিয়েছে। উচ্ছেদ ও উদ্ধার কাজে ৪৫টি নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে। মঠের বাজার, যমুনা বাজার, গড়ি মান্ডু, গীতা ঘাট, বিশ্বকর্মা কলোনি, খাড্ডা কলোনি, পুরাতন রেল সেতুর কাছে নীলি ছত্রী মন্দিরের আশেপাশের এলাকা, নিম করোলি গৌশালা এবং ওয়াজিরাবাদ থেকে মজনু কা টিলা পর্যন্ত রিং রোডের একটি অংশ এখন প্লাবিত হয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের তাদের বাড়িঘর খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। কেজরিওয়াল বলেছেন, যমুনা নদীর কাছাকাছি ছয়টি জেলায় ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হবে। ক্যাবিনেট মন্ত্রী আতিশি মারলেনা জানিয়েছেন, দিল্লিতে পাল্লা থেকে ওখলা ব্যারাজ পর্যন্ত ৫০টি নৌযান মোতায়েন করা হবে।
দিল্লিতে ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার তালিকায় রয়েছে বোট ক্লাব, মনাস্ট্রি মার্কেট, যমুনা বাজার, গীতা ঘাট, বিশ্বকর্মা কলোনি, খাড্ডা কলোনি, গড়ি মান্ডু, মজনু-কা-টিলা থেকে ওয়াজিরাবাদ পর্যন্ত প্রসারিত, বদরপুর খদ্দর, ডিএনডি – পুষ্ট ময়ূর বিহার। তিনি এসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড় ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।