দিনহাটায় কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে হামলা। গুলি করা হয়। বোমাবাজি চলে রাতে। সকালে পুনর্নির্বাচনের দিন ফের রক্তাক্ত কোচবিহার। ভোটের দিন পরপর গুলি চলেছিল জেলায়। বুথের মধ্যে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত জেলার দিনহাটা ব্লক। জেলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক বনাম উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়নের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র।
পুনর্নির্বাচনের সকালে দিনহাটার কংগ্রেস প্রার্থী নূর নাহার বিবির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়ার অভিযোগ আসছে। ভয়ে এবং আতঙ্কে কেঁদে ফেলেন তিনি। দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকের এই বুথে আজ রয়েছে পুনর্নিবার্চন।
পঞ্চায়েত পুনর্নির্বাচনে আজ বাহিনী বনাম বাইক বাহিনীরও লড়াই! কে জিতবে? এই প্রশ্ন উঠছে। আতঙ্ক নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচন লাইনে ভোটাররা, বাহিনীর সামনেই হামলার আশঙ্কা করছেন তারা। সোমবার পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচনে খুনের আশঙ্কা প্রবল। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও আছে। তাদের হাতে মেশিনগান। আর ভোটাররা বলছেন বুথের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে হামলাকারীরা। তাদের হাতে আছে বোমা,পাইপগান। আজ পুনরায় ভোটে বাহিনীর সাথে বাইক বাহিনীরও লড়াই।
গ্রাম বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে সর্বাধিক রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ। জেলার শতাধিক আসনে ভোট। আরও অন্যান্য জেলার মধ্যে মালদায় চলছে শতাধিক আসনে ভোট। সব মিলে রাজ্যে ৬৯৭টি আসনে ভোট হচ্ছে ফের। এ যেন মিনি পঞ্চায়েত ভোট!
রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে সর্বাধিক আসনে পুনর্নির্বাচন হবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। আর সর্বনিম্ন আসনে ফের ভোট হবে আলিপুরদুয়ারে। এক নজরে পুনর্নির্বাচন আসন ভিত্তিক জেলাগুলি:
মুর্শিদাবাদ ১৭৫
মালদহ ১১২
কোচবিহার ৫৩
নদিয়া ৮৯
কোচবিহার ৫৩
উত্তর ২৪ পরগনা ৪৬
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৩৬
পূর্ব মেদিনীপুর ৩১
হুগলি ২৯
দক্ষিণ দিনাজপুর ১৮
জলপাইগুড়ি ১৪
বীরভূম ১৪
পশ্চিম মেদিনীপুর ১০
বাঁকুড়া ৮
হাওড়া ৮
পশ্চিম বর্ধমান ৬
পুরুলিয়া ৪
পূর্ব বর্ধমান ৩
আলিপুরদুয়ার ১
শনিবার হয়েছে গ্রাম-বাংলার ভোট উৎ-শব! ভোটকে কেন্দ্র করে দিকে দিকে চলে সন্ত্রাস। ভোট গ্রহণের আগে থেকে ভোট শেষ হওয়ার পরে শুধু পড়েছে একটার পর একটা লাশ। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার ছিল ভোটসন্ত্রাসের হটস্পট। মুর্শিদাবাদে সর্বাধিক মৃত্যু হয়। রবিবারও একাধিক জেলায় ভোট পরবর্তী সংঘর্ষ চলেছে। রাজনৈতিক মৃত্যুর খবর এসেছে। উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। সোমবার যতগুলি জেলায় পুনর্নির্বাচন হবে তার মধ্যে সর্বাধিক আসন এই জেলাতেই।
রবিবার রাতে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লি গেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার একাধিক বৈঠক করতে পারেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। পঞ্চায়েত রিপোর্ট পেশ করতে প্রস্তুত রাজ্যপাল। তবে কি কেন্দ্র বড় কোনও নিতে চলেছে এমন প্রশ্ন উঠছে।