বারবার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের পদাধিকারী হয়ে শাসকদল তৃৃণমূলের নির্দেশে জঙ্গলমহলের বাম সমর্থকদের বিনা দোষে গ্রেফতার করেছিলেন ভারতী ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জঙ্গলমহলের মা বলা ভারতী ঘোষ (Bharti Ghosh ) এখন বিজেপি নেত্রী। পঞ্চায়েত ভোটে তিনি দলের হয়ে প্রচার করছেন। দাসপুরে তিনি দিলেন চমক।
বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের কলমীজোড় ও সংলগ্ন এলাকাতে প্রচারে বেরিয়েছিলেন ভারতী ঘোষ। সেখানে সিপিআইএমের কর্মীদের দেওয়া লিখন চলছিল। তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের কাছ থেকেই রং তুলি নিয়ে সিপিআইএমের প্রতীকের পাশেই আঁকলেন নিজের দলের প্রতীক পদ্ম।
প্রচার করতে করতে কর্মীজোড় এলাকায় দেখেন সিপিআইএমের কর্মীরা প্রতীক আঁকছে দেওয়ালে। সাথে সাথে তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন খানিকটা। অনুরোধ করেন “ভাই আমাকে একটু দেওয়ার লিখতে দেবে।” এতে হতচকিত হয়ে সিপিআইএমের ওই কর্মীরা রাজি হয়ে যান। তাদের হাত থেকে রং তুলি নিয়ে তাদের সিপিআইএমের প্রতীকের পাশেই নিজের দলের পদ্ম ফুলের ছবি আঁকেন তিনি।
ভারতী ঘোষ আহ্বান জানালেন “অনেক অন্য দল হয়েছে একবার বিজেপিকে সমর্থন করে দেখুন।” তৃণমূলের দাবি-“এতদিন যেটা আমরা বলছিলাম, সেই গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে এলো।” সিপিআইএমের যে কর্মী ওই কাজটি করছিলেন সেই লিয়াকত আলী বলেন-“উনাকে আমরা চিনি পুলিশ সুপার ছিলেন। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতেই পারে। নিজে প্রতীক আঁকবেন বলে যখন রং চাইলেন তখন আমরা দিলাম।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরে দাসপুর এলাকায় থাকছেন ভারতী ঘোষ। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী দেব এর কাছে হেরেছিলেন। ভারতী ঘোষ বলেন-” এখন সময় হয়েছে সকলেরই শাসকদলের সন্ত্রাস ও অনুন্নয়ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত। সেই আহবানটাই জানালাম।”